লক্ষ্মীপুরে পুলিশের নারী সদস্যদের আবাসনের জন্য নির্মিত হলো অত্যাধুনিক ‘ব্যারাক’

All-focus

জেলায় পুলিশের নারী সদস্যদের আবাসনের জন্য ৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হলো চারতলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ব্যারাক। এরই মধ্য দিয়ে জেলায় কর্মরত নারী পুলিশদের বাসস্থান সংকট নিরসন হতে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে লক্ষ্মীপুর সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শিঘ্রই ভবনটির উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, জেলা পুলিশ লাইন্সে মাত্র একটি ব্যারাক রয়েছে। যেকারণে দীর্ঘদিন যাবত নারী সদস্যদের আবাসন নিয়ে জেলা পুলিশ প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ সংকট নিরসনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দাবি জানালে বর্তমান সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে অত্যাধুনিক এ ব্যারাকটি নির্মাণ করে।
জেলা গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে ৬তলা ফাউন্ডেশন নিয়ে চারতলা বিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এটা পুলিশের নারী সদস্যদের আবাসিক ব্যারাক। ভবনটির নিচতলায় রয়েছে অভ্যর্থনা কক্ষ, ডাইনিং, নামাজের ঘর, রান্নাঘর ও স্টোররুম। এছাড়াও প্রত্যেক তলায় ওয়াশ ব্লক রয়েছে। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রয়েছে আবাসনের সু-ব্যবস্থা। প্রায় ১২০ জন নারী পুলিশ সদস্য এখানে থাকতে পারবেন। গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে দুই ধাপে দরপত্রের মাধ্যমে ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স বোনাস ইন্টারন্যাশনাল’ প্রায় ৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করে।
জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফেরদৌস-উজ-জামান বাসসকে বলেন, যথাযথ মান রক্ষা করে অত্যাধুনিকভাবে নারী পুলিশ ব্যারাকটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখন সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যে এটি পুলিশ বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হবে। ভবনটির স্থায়িত্বকাল প্রায় ৫০ বছর ধরা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও স্টেট অফিসার পঙ্কজ কুমার দে বাসসকে বলেন, চার তলা বিশিষ্ট নতুন ব্যারাক ভবনটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে নারী সদস্যদের আবাসন সংকট নিরসন হতে যাচ্ছে। গণপূর্ত বিভাগ সবকিছু বুঝিয়ে দেয়ার পরপরই ভবনটি উদ্বোধন করা হবে।