লক্ষ্মীপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে উপজেলার পিয়ারাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম জোসনা বেগম (২৫)। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার মো. বাহারের মেয়ে। জোসনার স্বামীর নাম সুজন। সুজন উপজেলার পিয়ারাপুর এলাকার মমিন উল্যাহ পাটওয়ারীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, সুজনের সঙ্গে জোসনার ৬ বছর আগে বিয়ে হয়। জোসনা-সুজনের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই জোসনার কাছে যৌতুকের দাবি করে আসছে সুজন ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সম্প্রতি সুজন পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে প্রায়ই জোসনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হত। এর জের ধরে শুক্রবার সকালে জোসনাকে মারধর করে স্বামী সুজন। সন্ধ্যায় বৈঠকে করে উভয় পরিবার বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। তবে রাতের কোন এক সময়ে জোসনাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে সকালে তার মরদেহ সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী।

নিহত জোসনার বাবা মো. বাহার বলেন, যৌতুক হিসেবে ঋণ নিয়ে ৫০ হাজার টাকা জোসনার স্বামীকে দেয়া হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে জোসনার স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে স্বামী।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

আজকের বাজার/একেএ