লন্ডনের রয়্যাল আলবার্ট হলে সৌধের অভিনব পরিবেশনা ১৩ জুলাই

ব্রিটেনে আগামী ১৩ জুলাই এক অভিনব পরিবেশনা নিয়ে আসছে দক্ষিণ এশীয় শিল্প, সাহিত্য ও সঙ্গীতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান সৌধ সোসাইটি অব পোয়েট্রি এন্ড ইন্ডিয়ান মিউজিক।
বিশ্বের অন্যতম প্রধান আর্ট ভেনু রয়্যাল আলবার্ট হলের এলগার রুমে প্রখ্যাত মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিডা কাহলোর জীবন ও চিত্রকর্মের নতুন ব্যাখ্যা এবং সম্পূর্ণ অভিনব আলোয় তার সৃষ্টিকর্মকে আবিস্কার ও উপস্থাপনা করবে সৌধ। অভিনব এই পরিবেশনা মঞ্চস্থ হবে ১৩ জুলাই বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায়।
কবি টি এম আহমেদ কায়সারের পরিচালনায় এই বিশেষ আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যোগ দেবেন হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয়ধারার শীর্ষ ভায়োলিন বাদক বিদুষী কালা রামনাথ। তবলায় সঙ্গত করবেন পন্ডিত সাঞ্জু সাহাই। পুরো পরিবেশনা শেষ হবে বাংলাদেশের রাধারমন দত্ত রচিত ‘কারে দেখাব মনের দুঃখ গো’ গানের মধ্য দিয়ে। গাইবেন প্রখ্যাত বাংলাদেশি বৃটিশ কন্ঠশিল্পী শাপলা সালিক। এতে ফ্রিডার চিত্রকর্ম ও সঙ্গীতের মধ্যকার অন্তর্নিহিত অন্বয়, পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া নিয়ে রচিত পান্ডুলিপি থেকে পাঠ করবেন কবি ও গদ্যশিল্পী শ্রী গাঙ্গুলি। ফ্রিডা কাহলোর নির্বাচিত চিত্রকর্ম নিয়ে একটি  ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রদর্শিত হবে যা নির্মাণ করেছেন তরুণ চলচ্চিত্রকার মকবুল চৌধুরি। নেপথ্য ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন কবি শামীম শাহান।
বিখ্যাত আর্ট ভেনু রয়্যাল আলবার্ট হলে দক্ষিণ এশীয় কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের শিল্প-সমবায়ী উদ্যোগের ঘটনা ‘একেবারেই বিরল এবং বিপুল সম্মানের’ বলে জানালেন সৌধ পরিচালক টি এম আহমেদ কায়সার।
তিনি বলেন, ‘এই বিরল সম্মান গত তেরো বছর ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন সঙ্গীত, সাহিত্য ও শিল্প নিয়ে বৃটেনব্যাপী সৌধের একের পর এক বিশ্বমানের অনুষ্ঠান আয়োজনের এক বিশেষ স্বীকৃতি।
ইতোপূর্বে সৌধ আয়োজিত ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য ধ্রুপদী সঙ্গীতের উপর বিশেষ পরিবেশনামালা বৃটেনের অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সাউথব্যাংক সেন্টার, বৃটেনের পার্লামেন্ট ভবন হাউজ অব কমন্স এবং এডিনবরা উৎসবে মঞ্চস্থ হয় এবং অসংখ্য সঙ্গীতবোদ্ধা, সঙ্গীত গবেষক এবং বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির দর্শকদের কাছে বিপুলভাবে সমাদৃত হয়।
টি এম আহমেদ কায়সার জানান,এই আয়োজন সঙ্গীত ও শিল্পের ইতিহাসে এক অনন্য সংযোজন। বিশ্বের শীর্ষ শিল্পীদের পরিবেশনায় এক শ্বাসরুদ্ধকর নেশা-ধরানো  সঙ্গীত তো বটেই, বরং  সঙ্গীত-উৎসারিত বিলাপের ভেতর দিয়ে দর্শকেরা আবিস্কার করবেন ফ্রিডা কাহলোর বিষাদঘন এক অভূতপূর্ব  চিত্রশিল্পের ভূবন যা এর আগে কখনো আস্বাদন বা অবগাহনের সুযোগ হয়নি কারো।