ব্রিটেনের এসেক্স কাউন্টিতে একটি লরির রেফ্রিজারেটেড কন্টেইনার থেকে উদ্ধার করা ৩৯ মরদেহের পরিচয় শণাক্ত শেষে তাদের নাম প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। তারা সবাই অবৈধ ভাবে ব্রিটেনে প্রবেশ করতে চেয়েছিলো বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, নিহতদের সবাই ভিয়েতনামের নাগরিক। এদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী এবং তাদের সকলেরই বয়স ১৫ থেকে ৪৪ এর মধ্যে। এর মধ্যে আবার ১০টি কিশোর বয়সীর লাশও শণাক্ত করা হয়েছে, এদের মধ্যে দু’জনের বয়স ১৫ বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গত ২৩ অক্টোবর গ্রেইস শহরের ওয়াটারগ্লেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এলাকায় ওই লরির ভেতর থেকে ওই মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছিল।
এসেক্স পুলিশের সহকারী প্রধান কনস্টেবল টিম স্মিথ বলেছেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার ছিল মৃতদের পরিচয় শণাক্ত করা, তাদের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখা এবং তাদের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের সহায়তা করা।’
লরিটির যে কনটেইনারের ভেতর থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে সেটি বেলজিয়ামের জিব্রুগা থেকে টেমসের পারফ্লিট নদীবন্দরে নামে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লরিটির চালক নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের মরিস রবিনসনের বিরুদ্ধে মানবহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আওতায় আয়ারল্যান্ডের পুলিশ ডাবলিন থেকে ২২ বছর বয়সী যুবক এমন হ্যারিসনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে হস্তান্তরে প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মানবহত্যা ও মানবপাচারের অভিযোগে ব্রিটিশ পুলিশ এখন নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের রোনান ও ক্রিস্টোফার হিউ নামের দুই ভাইকে খুঁজছে।
এসেক্সের লরিতে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ভিয়েতনামের পুলিশও দেশটির দু’টি প্রদেশ থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আজকের বাজার/এমএইচ