লা লিগা: এমবাপ্পে, নেইমারের গোলে জয়ের ধারায় ফিরেছে পিএসজি

কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমারের গোলে লিগ ওয়ানে ধুকতে থাকা বর্দুকে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত করে জয়ের ধারায় ফিরেছে পিএসজি। ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায় নেয়া পিএসজি দলকে কাল পার্ক ডি প্রিন্সেসের ঘরের মাঠের সমর্থকরা খুব একটা ভালভাবে স্বাগত জানায়নি। বিশেষ করে নেইমার ও মেসি পড়েছিলেন সমর্থকদের রোষানলে। প্রায় পুরোটা ম্যাচই তাদেরকে দর্শকের দুয়ো ধ্বনি শুনতে হয়েছে।

সাতবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মেসিকে ক্যারিয়ারে কখনই এত বেশী তোপের মুখে পড়তে হয়নি। এমনকি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে বাজে সময় কাটালেও সবসময়ই এই সুপারস্টার অন্তত সমর্থকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেয়ে গেছেন। কাল যতবার মেসি বল স্পর্শ করেছেন ততবার তাকে দুয়ো ধ্বনি শুনতে হয়েছে।

এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিসের থেকে ১৫ পয়েন্ট এগিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছে ফরাসি জায়ান্টরা। সেইন্ট এতিয়েনের রেকর্ড ১০ম ফ্রেঞ্চ শিরোপা স্পর্শ করার পথে দারুনভাবে এগিয়ে চলেছে পিএসজি। কিন্তু তাদের স্বাগতিক সমর্থকদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের হতাশা যেন কিছুতেই কাটছে না। এই বিদায়ে তারা কিছুতেই মেসিকে মাফ করতে পারছেন না।

শেষ ১৬’র দ্বিতীয় লেগে এমবাপ্প্ েগোলে এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি। ম্যাচ শেষে ৩০ মিনিটেরও কম সময় ধরে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল পিএসজি। কিন্তু ১৭ মিনিটে পরপর তিন গোল হজম করে পিএসজির পরাজয় নিশ্চিত হয়। আর এই তিনটি গোলই করেছেন করিম বেনজেমা।

কাল সে কারনেই শুধুমাত্র এমবাপ্পে সমর্থকদের রোষানল থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। তরুন এই ফরাসি স্ট্রাইকার যতবারই বল পেয়েছেন ততবারই স্বাগতিক সমর্থকদের অকুন্ঠ সমর্থন পেয়েছেন। তারই সুবাদে ২৪ মিনিটে গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন। জর্জিনিও উইজনালযামের ক্রসে মৌসুমের ১৫তম গোল পূরণ করেন এমবাপ্পে। মৌসুমে একমাত্র লিগ ওয়ানের শিরোপাই এখন জয় করার সুযোগ রয়েছেন মরিসিও পোচেত্তিনোর শিষ্যদের।

বিরতির পর সাত মিনিটের মধ্যে ব্যবধান দ্বিগুন করেন নেইমার। মেসির কাছ থেকে বল পাওয়া আচরাফ হাকিমির থ্রু বলে ব্রাজিলিয়ান তারকা দারুন ফিনিশিংয়ে পিএসজির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। ৬১ মিনিটে লিয়ান্দ্রো পারেদেস মৌসুমের প্রথম গোলের মাধ্যমে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন। এনিয়ে এবারের মৌসুমে ১০টি এ্যাওয়ে ম্যাচের সাতটিতেই পরাজিত হলো টেবিলের তলানির দল বর্দু। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান