লিবিয়া মিশরের হুমকিকে যুদ্ধের ঘোষণার শামিল করেছে

A man waves a Libyan natioanl flag as people walk on protest signs showing "X" marks on the faces of (R to L) French President Emmanuel Macron, Egyptian President Abdelfattah el-Sisi, and Abu Dhabi's Crown Prince Sheikh Mohammed bin Zayed Al Nahyan, during a demonstration in the Martyrs' Square in the centre of the Libyan capital Tripoli, currently held by the UN-recognised Government of National Accord (GNA), on June 21, 2020. - The GNA on June 21 denounced Egypt's warning of military intervention in Libya, labelling it a "declaration of war", after the Egyptian President warned that if pro-GNA forces advanced on the strategic city of Sirte -- some 450 kilometres (280 miles) east of Tripoli -- it could provoke a "direct" intervention by Cairo. (Photo by Mahmud TURKIA / AFP)

লিবিয়ার জাতিসংঘ স্বীকৃত জাতীয় ঐক্যমতের সরকার (জিএনএ) দেশটিতে মিশরের সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকির নিন্দা জানিয়েছে এবং একে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে উল্লেখ করেছে।

রোববার গর্ভমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি একটি শত্রুতামূলক পদক্ষেপ এবং সরাসরি হস্তক্ষেপ যা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

লিবিয়া বিষয়ে আরব লীগের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রাক্কালে মিশর এই সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। এই বৈঠকে অংশ নিতে জিএনএ অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সোমবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে মঙ্গলবার করা হয়েছে।

এদিকে শনিবার মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি সতর্ক করে বলেছেন, জিএনএপন্থী বাহিনী কৌশলগত শহর সার্ত্রের দিকে এগুলে তা কায়রোকে সরাসরি হস্তক্ষেপে উদ্বুদ্ধ করবে।

রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে সার্ত্রে শহর অবস্থিত। জিএনএ তার বিবৃতিতে আরো বলেছে, লিবিয়ার আভ্যন্তরীণ বিষয়ে এই হস্তক্ষেপ তার সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট বা তার সমর্থক কিংবা মিলিশিয়া ও ভাড়াটে সৈন্য যারাই এই ঘোষণা দিক তা অগ্রহণযোগ্য।

এই উত্তেজনার প্রেক্ষিতে আর্ন্তজাতিক মহলকে তাদের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে জিনএনএ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়ামার গাদ্দাফিকে ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুতির পর হত্যা করা হয়।

এরপর থেকে দেশটিতে বিভিন্ন দলে উপদলে ও গোত্রে যে বিবাদ ও সহিংসতা শুরু হয় তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ও শক্তিশালী হাফতার বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। হাফতার বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে মিশর, রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান