লেবাননে ৮ বছর পর পার্লামেন্ট নির্বাচন হচ্ছে

লেবাননে প্রায় এক দশক পর পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশটিতে এর আগে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালে। বিবিসি’র সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

পরবর্তীতে ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে দেশটিতে ২০১৩ ও ২০১৭ সালেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

তবে পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ার ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি বিবেচনা করে ও লেবাননের নিজস্ব নির্বাচনী আইনে সংস্কার আনার কারণে টানা দুইবার ২০০৯ সালে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এইবার মোট নির্বাচনী আসনের সংখ্যা হচ্ছে ১২৮টি। ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার বা মঙ্গলবারের আগে আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে না। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রবিবার রাতেই বুথ ফেরত জরিপ জানা যাবে।

নতুন সংস্কারের অংশ হিসেবে এইবারের নির্বাচনে ভোটদানসহ বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, নির্বাচনী জেলার সংখ্যা কমিয়ে আনা ও প্রথমবারের মতো প্রবাসী লেবানিজদেরও ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া। প্রবাসী লেবানিজরা সপ্তাহের শুরুতেই তাদের ভোট দিয়ে দিয়েছেন।

লেবাননের বহু প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে পার্লামেন্টে নিজেদের প্রতিনিধির সংখ্যা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবে দেশটির সশস্ত্র রাজনৈতিক দল হিজবুল্লাহ।

লেবাননে রাজনৈতিক পদ্ধতিতে ক্ষমতার বণ্টনের সঙ্গে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর আধিপত্যের সম্পর্ক রয়েছে। পার্লামেন্টে মোট আসনের সংখ্যা মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে বিভক্ত করা থাকে। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্ট স্পিকারের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ধর্মীয় গোষ্ঠী থেকে নির্বাচিত করা হয়।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে বিবেচনা করে।

আজকের বাজার/একেএ/