লৈঙ্গিক সমতায় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

DAVOS/SWITZERLAND, 23JAN11 - The WEF logo is seen on a window at the congress center during preparations for the upcoming Annual Meeting 2011 of the World Economic Forum in Davos, Switzerland, January 23, 2011. Copyright by World Economic Forum swiss-image.ch/Photo by Jolanda Flubacher

লৈঙ্গিক সমতা অর্জনে বিশ্বের ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৭তম। দ্য ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লৈঙ্গিক সমতা অর্জনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তবে সার্বিকভাবে বিশ্বে লৈঙ্গিক সমতা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে।

চলতি বছরে কর্মক্ষেত্রসহ বহু ক্ষেত্রে সংকটের মধ্যে পড়েছে নারীর অবস্থান। প্রতিবেদন মতে কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা, রাজনীতি, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে দিন দিন কমছে নারীর অর্জন।

এতে ২০১৭ সালকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘উত্তম দশকে বাজে বছর’ হিসেবে। সংস্থাটি বলছে, বর্তমান বৈশ্বিক লৈঙ্গিক বৈষম্য নিরসনে অন্তত ১০০ বছর লাগবে।

যদিও গত বছর এ সম্ভাবনা দেখানো হয়েছিল ৮৩ বছর। ২০০৬ সাল থেকে লৈঙ্গিক সমতা নিয়ে কাজ করছে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম।

নারীর শ্রমে অংশগ্রহণ, জীবন নিয়ে প্রত্যাশা এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর অবদানের পরিমাপ নিয়ে গবেষণা করে নতুন প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

গত ১১ বছরে লৈঙ্গিক সমতার হার সবচেয়ে কম হয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।

প্রতিবেদনটির বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, ২০১৭ সালে ডব্লিউইএফ লৈঙ্গিক সমতায় কোনো উন্নতি দেখছে না। লৈঙ্গিক সমতা আদর্শিক ও অর্থনৈতিক দুটোর সমন্বয়ে হয়। বর্তমানে এ সমন্বয়ের কোনো নজির নেই।

লৈঙ্গিক সমতা অর্জনের তালিকায় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে আইসল্যান্ড। দ্বিতীয় অবস্থানে নরওয়ে, তৃতীয় অবস্থানে ফিনল্যান্ড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪৯তম। যুক্তরাজ্যের অবস্থান ১৫তম।

লৈঙ্গিক সমতা সবচেয়ে বেশি অর্জন হয়েছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে। যা যথাক্রমে ৯৬ ও ৯৫ শতাংশ। অন্যদিকে প্রকৌশল, নির্মানকাজ, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তিতে সমতা অর্জনে পিছিয়ে আছে নারী।

বৈশ্বিকভাবে অর্থনৈতিক খাতে মাত্র ৫৮ শতাংশ লৈঙ্গিক সমতা অর্জন হয়েছে। আর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমতা অর্জন হয়েছে মাত্র ২৫ শতাংশ।

ডব্লিউইএফ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী শুধুমাত্র অর্থনৈতিক অংশগ্রহণে লৈঙ্গিক অসমতা কমালে ২০২৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক দেশজ উৎপাদন ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার বৃদ্ধি পাবে।

আজকের বাজার : এমএম / ০২ নভেম্বর ২০১৭