শতাধিক সরকারি সেবা এখন অনলাইনে: পলক

বর্তমানে শতাধিক সরকারি সেবা অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বুধবার (৩০মে) এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনে ‘হাউ টু ম্যানেজ ডিজিটাল সিটিজেন সেন্ট্রিক ই-গভর্নেন্স?’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক লিনার ভিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

পলক বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকারের ফলেই আমরা দ্রুততার সঙ্গে ই-গভর্নেন্সের পরিধি বিস্তৃত করতে সক্ষম হয়েছি। আপনারা নিশ্চয় অবগত যে,৯ বছর আগে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১ মিলিয়নেরও কম ছিল, বর্তমানে তা ৮০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।

২০০৮ সালে মাত্র ২/৩ ধরনের সেবা অনলাইনে গ্রহণ করা যেত, কিন্তু আমরা শতাধিক সরকারি সেবাকে অনলাইনে সহজলভ্য করেছি।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে আমরা ২০২১ সালের মধ্যেই ৯০ শতাংশ সেবা অনলাইনে সহজলভ্য করতে কাজ করে চলেছি।’

কীভাবে সরকার সরকার দ্রুত ডিজিটাল পরিবর্তনগুলোতে জনগণকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ই-গভর্নেন্স নিশ্চিত করছে— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘আমরা দেশের ৩ ধরনের জনগণকে টার্গেট করেই ই-গভর্নেন্স সেবা বিস্তৃত করছি।

যেমন ডিজিটাল নেটিভস— যারা ইন্টারনেটের যুগেই জন্মগ্রহণ করেছে এবং বেড়ে উঠছে; ডিজিটাল এডাপ্টারস— ক্রমাগতভাবে যারা নিজেদেরকে ইন্টারনেট ব্যবহারে সম্পৃক্ত করছে; আর ডিজিটাল আউলেয়ার্স— যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না এবং ব্যবহার করতেও ইচ্ছুক নয়। এই ডিজিটাল আউটলেয়ার্সদের ইন্টারনেট সেবায় নিয়ে আসাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা সারাদেশে পাঁচ সহস্রাধিক ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছি। এখন তাদেরকে এ সকল ডিজিটাল সেন্টারে এসে ই-গভর্নেন্স সেবা গ্রহণে আমরা উদ্বুদ্ধ করছি। এছাড়াও, আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিস্তৃত করছি এবং জনগণের প্রয়োজনীয় সেবাগুলোকে অনলাইনে নিয়ে আসতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি।’

বিশাল জনসংখ্যাকে এত দ্রুততার সঙ্গে ই-গভর্নেন্স সেবায় নিয়ে আসতে মূল উপাদান কি– সঞ্চালক ভিকের এমন প্রশ্নে পলক বলেন, ‘সেবার সমন্বয় সাধনই বিশাল জনগোষ্ঠীকে ই-গভর্নেন্স সেবার আওতায় নিয়ে আসতে অনন্য উপাদান। স্বল্প সময়ে, কম খরচে এবং বারবার সরকারি অফিসে জনগণকে যাতে বারবার ধরণা না দিতে হয়, সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা ই-গভর্নেন্স পরিকল্পনা করেছি। ফলে, সরকারের সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ, সংস্থা জনগণের জন্য আলাদা আলাদা অনলাইন সেবা চালু করে।’

কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্সটি কালজুলেইদ বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের ৪ বিলিয়নেরও অধিক মানুষ অনলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত এবং মানুষ এখন গড়ে ৬ ঘণ্টারও অধিক সময় অনলাইনে ব্যয় করে। সেজন্য জনগণকে আমরা ডিজিটাল সিটিজেন হিসেবে গণ্য করছি এবং অনলাইনেই তাদেরকে সকল ধরনের সরকারি সেবা দেয়ার মাধ্যমে কার্যকরভাবে ই-গভর্নেন্স নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর একযোগে কাজ করতে হবে।’

২ দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনের প্যানেল আলোচনায় সেন্ট লুসিয়ার প্রধানমন্ত্রী এলেন চ্যাস্টনেট, স্মার্ট কাতালোনিয়া, স্পেনের পরিচালক ডেনিয়েল মার্কো অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রোগ্রাম ডিরেক্টর অব স্মার্ট গভর্নমেন্ট, ইজিএ (এস্তোনিয়ান গভর্নমেন্ট একাডেমি)-এর লিনার ভিক।

আজকের বাজার/এসএম