বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে যাদের শনাক্ত করা গেছে, তাদের মরদেহ আগামি মঙ্গলবারের মধ্যে দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
তিনি বলেন, রবি বা সোমবারের মধ্যে তারা (নেপাল) শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হস্তান্তরের চেষ্টা করবেন। তবে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া মঙ্গলবারেও গড়াতে পারে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ধরে রাখুন মঙ্গলবার হস্তান্তর করা যাবে মরদেহগুলো। তবে আবারও বলছি, আমরা চেষ্টা করব। এটা ওইভাবে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।’
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়া চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের এই সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘এর মধ্যে যেসব মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। শনিবার বাংলাদেশে সরকারি ছুটি রয়েছে। ফলে এদিন তেমন কোনও কাজ হবে না। তবে আমরা আশাবাদী, রবিবার বা সোমবার নাগাদ শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হস্তান্তর করা সম্ভব হবে।’
ডা. সোহেল আরও বলেন, তাদের (নেপাল কর্তৃপক্ষ) সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা যেটুকু বুঝতে পারছি, শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হস্তান্তরের সম্ভাব্য দিন রবি বা সোমবার।
নেপালের ওই উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে মাত্র আট জনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে। তবে সেই মরদেহগুলোও আজ শুক্রবার পর্যন্ত স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) ডা. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছিলেন,কাল পরশুর মধ্যেই শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬৭ যাত্রী ও চার জন ক্রু নিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হলে ৫১ জনের মৃত্যু হয়। ওই ফ্লাইটে থাকা ৩৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন নিহত হয়েছেন।
ওই দুর্ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচ জন নেপালের হাসপাতাল ছেড়েছেন। তাদের মধ্যে রেজওয়ানুলকে কাঠমান্ডুর ওএম হাসপাতাল থেকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। আর শাহরিন আহমেদ, মেহেদী, স্বর্ণা ও অ্যানিকে কাঠমান্ডুর কেএমসি থেকে এনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
এমআর/