শনিবার জিম্মি চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস শনিবার জিম্মি চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেবে বলে ঘোষণা করেছে। হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালিয়ে যাদের জিম্মি হিসেবে আটক করে এই চারজন নারী সেনাও তাদের মধ্যে ছিলেন।

যুদ্ধ বিরতি চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিনি বন্দীদের একটি দ্বিতীয় দল মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জেরুজালেম থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

ইসরাইল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার নিশ্চিত করেছে, দেশে ফিরে আসা জিম্মিদের নামের একটি তালিকা তারা পেয়েছে।

যদিও কোনও পক্ষই নির্দিষ্ট করেনি যে সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হলে কতজন ফিলিস্তিনিকে ইসরাইলি আটক থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।

ইসরাইলি হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরামের মতে, মুক্তি পাওয়া নারীরা হলেন করিনা আরিভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি এবং লিরি আলবাগ। আলবাগের বয়স ১৯ বছর, আর বাকিদের বযস এখন ২০ বছর।

এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ যা গত রোববার কার্যকর হয়েছে এবং যার উদ্দেশ্য হল সংঘাতের স্থায়ী অবসানের পথ প্রশস্ত করা।

কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা কয়েক মাস ধরে নিষ্ফল আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের কয়েকদিন আগে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি সম্পন্ন হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি নিশ্চিত করার কৃতিত্ব দাবি করেছেন।

হামাসের সশস্ত্র শাখা এজেদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা শুক্রবার টেলিগ্রামে বলেছেন, বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসাবে কাসসাম ব্রিগেড চারজন নারী সেনাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় নিশ্চিত করেছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে নাম পেয়েছেন।

ফিলিস্তিনি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, তাদের মুক্তি দুপুরের (১০০০ জিএমটি) আগে শুরু হতে পারে, যদিও হামাস বা ইসরাইল কেউই প্রত্যাশিত সময় সম্পর্কে কোনও বিবৃতি জারি করেনি।

ইসরাইলের কারাগার বিভাগ জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত কিছু ফিলিস্তিনি গাজায় যাবে, বাকিরা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিরে যাবে।

ইসরায়েলি ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার পর থেকে গাজায় আটক জিম্মিদের পরিবারগুলো ১৫ মাস ধরে যন্ত্রণা ভোগ করার পর তাদের প্রিয়জনদের ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন।

জিম্মি নিমরোদ কোহেনের মা ভিকি কোহেন বলেন, চুক্তিটি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে না এই উদ্বেগ এবং ভয় আমাদের সকলকে কুরে কুরে খাচ্ছে।

গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো বাড়ি ফিরে যেতে আকুল ছিল, কিন্তু অনেকেই কেবল ধ্বংসস্তূপ খুঁজে পেয়েছে যেখানে একসময় ঘর ছিল।

বাস্তুচ্যুত মহিলা তেকরা কাসেম এএফপিকে বলেন, আমরা যদি ফিরে যাওয়ার কথা ভাবি, যদিও ধ্বংসের কারণে আমাদের তাঁবু রাখারও কোন জায়গা নেই। (বাসস)