যৌতুকের টাকা না পেয়ে শরীয়তপুরের দক্ষিণ ভাষানচর গ্রামের এক গৃহবধূ খাদিজা বেগম (২০) পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী। এ ঘটনার পর নিহতের স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
বুধবার (১৬ মে) সকালে সদর উপজেলা আংগারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাষানচর গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত খাদিজা সদর উপজেলার চরচটাং গ্রামের গোলাম মাওলা কাজীর মেয়ে।
খাদিজার মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বজনরা এসে দেখেন ঘরের ভেতর চৌকির ওপরে মশারি পেঁচানো খাদিজার নিথর দেহ পড়ে আছে। স্বামীর বাড়ির কোনো লোকজন নেই। তারা খাদিজাকে হত্যা করার পর ঘরের মালামাল নিয়ে সবাই পালিয়ে গেছে। এর পর পালং মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে নিহত খাদিজার মামা আবু সিদ্দিক বলেন, যৌতুকের জন্য আমার ভাগ্নিকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন কয়েক দিন আগে মারধর করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। গত সোমবার ওর শ্বশুর ও শাশুড়ি মেয়ের বাড়ি থেকে অনেক অনুরোধ করে আমার ভাগ্নিকে এনে পুনরায় যৌতুকের জন্য পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে গেছে তারা।
পালং মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে খাদিজাকে হত্যা করা হয়েছে। তার গায়ে গলার নিচে, মুখমণ্ডলে আঘাতের দাগ রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।
আজকের বাজার/আরআইএস