গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ছোট ছত্রগাছা গ্রামের কৃষক আয়নাল হোসেন (৫০)। কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠা আয়নাল সাফল্য পেয়েছেন শসা চাষ করে।
এক সময় অভাব অনটনে দিনকাটলেও শসা চাষেই দিন ফিরেছে এই কৃষকপুত্রের। গত কয়েক বছর তিনি শষা চাষ করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও দুই বিঘা জমিতে চাষ করেছেন হাইব্রিড জাতের শসা।
আয়নাল জানান, এ শসা চাষের সময় হচ্ছে জৈষ্ঠ্য মাসের ১০ তারিখ থেকে শ্রাবণ মাসের ১৫-২০ তারিখ পর্যন্ত। ভাদ্র মাসের ১০ তারিখ থেকে কার্তিক মাসের ১৫-২০ তারিখ পর্যন্ত এবং মাঘ মাসের ১০ তারিখ থেকে চৈত্র মাসের ১৫-২০ তারিখ পর্যন্ত। এই সবজি চাষের সময়কাল ৬৫-৭০ দিন এবং বীজ বপন করার ৩৫ দিন পরে ফলন আসতে থাকে। একটানা ১০ বার তিন দিন পরপর ক্ষেত থেকে শসা উঠানো যায়।
তিনি আরো বলেন, এক বিঘা জমিতে শসা চাষে মোট খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। ফলন আসে কমপক্ষে ২৪৫ মণ। যা বিঘা প্রতি শসা বিক্রি করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
সাদুল্যাপুর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া জানান, শসা বাংলাদেশের প্রধান ও জনপ্রিয় সবজি সমূহের মধ্যে অন্যতম। শসার প্রতি ১০০ গ্রামে ৯৬% জলীয় অংশ, ০.৬ গ্রাম আমিষ, ২.৬ গ্রাম শ্বেতসার, ১৮ মি.গ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.২ মি.গ্রাম লৌহ, ক্যারোটিন ৪০ মাইক্রোগ্রাম, খাদ্যপ্রাণ সি ১০ মি.গ্রাম রয়েছে।
সাদুল্যাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে বেশকিছু জাতের শসার চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বিদেশি জাতের অধিকাংশই হাইব্রিড। বিএডিসি দুটি স্থানীয় জাত উৎপাদন করে থাকে বারোমাসি ও পটিয়া জায়ান্ট নামে। এছাড়াও বাংলাদেশি কয়েকটি বেসরকারি সবজি বীজ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই অনেকগুলো বিশুদ্ধ জাত ও হাইব্রিড (সংকর জাত) শসার জাত বাজার জাত করেছে।
স্বল্প খরচে শসা চাষ করে অধিক লাভ করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
রাসেল/