শান্তি চায় আরসা

শান্তির পক্ষে মত দিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) জানিয়েছে, মিয়ানমার সরকার শান্তির কোনো পদক্ষেপ নিলে তারা তাতে সাড়া দিতে প্রস্তুত আছে।

শনিবার ০৭ অক্টোবরএক বিবৃতিতে একথা জানায় বিদ্রোহী গোষ্ঠিটি।

এরআগে মিয়ানমারের সহিংসতা কবলিত রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এক মাসের অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছিল এআরএসএ। সোমবার মধ্যরাতে ওই অস্ত্রবিরতির মেয়াদ শেষ হবে।

অস্ত্রবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তারা কী পদক্ষেপ নিবে এ বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু বলেনি গোষ্ঠীটি, তবে রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে চালানো ‘অত্যাচার ও দমনপীড়ন বন্ধ করতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’ বলে জানিয়েছে। খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

বিবৃতিতে বলা হয়, যেকোনো পর্যায়ে বার্মিজ সরকার শান্তিতে ইচ্ছুক হলে এআরএসএ ওই ইচ্ছাকে স্বাগত জানিয়ে তার প্রতিদান দিবে।

গত মাসে এআরএসএ যখন একমাসের অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছিল তখন মিয়ানমার সরকারের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, আপস-মীমাংসার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনা করার কোনো নীতি আমাদের নেই।

২৫ অগাস্ট রাতে শত শত রোহিঙ্গা গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এআরএসএ-র বিদ্রোহীরা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৩০টি চৌকি ও সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্পে সমন্বিত আক্রমণ চালিয়েছিল। লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে চালানো এই হামলার সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ১৪ জন নিহত হয়।

এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্বিচার হামলা শুরু করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এতে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা গ্রামবাসী প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে চলে যেতে বাধ্য হয়।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর এই হামলাকে ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযানের নিখুঁত উদাহরণ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের এই অভিযোগ অস্বীকার করে মিয়ানমার বলেছে, সেখানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে এবং লড়াইয়ে পাঁচ শতাধিত মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা বেসামরিকদের ওপর হামলা করে তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছিল বলে দাবি দেশটির।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৭ অক্টোবর ২০১৭