পরিবর্তনশীল বিশ্বে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিক্ষকদের চিন্তায় আরো আধুনিক হতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সারাদেশ থেকে ২ হাজার ৪৯ জন কলেজ অধ্যক্ষ এ শিক্ষা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষা সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী দেশকে সবসময় পিছিয়ে দিয়েছে। আওয়ামীলীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে শিক্ষাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব¡ দিয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষা যেহেতু একটা ধারাবাহিক বিষয়। চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার বিষয় বাছাই করতে হবে। নির্দিষ্ট করতে হবে এবং শিক্ষা প্রদান করতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবো। এতে ইন্টারনেট সার্ভিস আরোও গতিশীল হবে।
তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর দেখেছি বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারেনি। ১৯টা অভ্যুত্থান হয়েছে, অবধৈ ভাবে ক্ষমতা দখল হয়েছে। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দেশটাকে উন্নয়নের পথ থেকে পিছিয়ে রেখেছে। যদিও অনেকে বলেন, কেউ বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছে অথচ যারা অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ল জারি করে ক্ষমতায় যায় তারা কিছু দিতে পারে না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটিভিত্তিক ও বিকেন্দ্রীকৃত পরিচালন ব্যবস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজট মুক্ত করায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করে আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছি। শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয় হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট বিনিয়োগ। বিশ্বের কোথাও শিক্ষিত কোনো জাতি অনুন্নত, পশ্চাতপদ, বেকার বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন থাকে না। শিক্ষা হচ্ছে একটি জাতির উন্নয়নের সোপান।
তিনি বলেন, আপনারা কলেজ অধ্যক্ষগণ হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে সুশিক্ষা পায়, তারা যাতে দেশপ্রেম ও ত্যাগের মহান আদর্শে গড়ে ওঠে এবং কোনো শিক্ষার্থী যাতে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তিতে বিপথগামী না হয়, সে দিকে সুদৃষ্টি রাখার জন্য আমি আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাই।
শিক্ষা সমাবেশ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি স্থাপনা ও ১টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও শুভ উদ্বোধন করেন।
১০টি স্থাপনা ও ১টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট, ‘স্বাধীনতা’ ম্যুরাল, ১৯৫২-১৯৭১, ডরমিটরি ভবন, আইসিটি ভবন, সিনেট ভবন, কর্মকর্তা ভবন, কর্মচারী ভবন, বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্র, রংপুর আঞ্চলিক কেন্দ্র, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (ঈঊউচ)।
উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগরে শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নাগরিক সমাজের আমন্ত্রিত প্রতিনিধিবৃন্দ।
আজকের বাজার : আরএম/সালি, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮