শিক্ষক-কর্মচারীদের দ্বিতীয় দিনের আন্দোলনেও পুলিশের বাধা

ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষা্প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের লাগাতর আন্দোলন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনেও বাধা দিয়েছে পুলিশ। বাধার কারণে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তার উত্তর পাশে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান নেন তাঁরা। সেখানেও পুলিশ তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।

সোমবার (১১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্বিতীয় দিনের মত এ কর্মসূচি শুরু করতে গেলে তাঁরা পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়।

২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ না রাখায় ফের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এর আগে গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাঁরা কর্মসূচি শুরু করলে পুলি বাধা দেয়। পরে ওই দিন তাঁরা প্রেস ক্লাবের দক্ষিণ পাশে অবস্থান নেয়।

নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। ন্যায্য দাবি আদায়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিলেও পুলিশ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, সকল বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলন অব্যহত থাকবে। এ কারণে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। দাবি আদায় নানা হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

পুলিশি বাধার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস ক্লাবের সামনে পেট্রোল ইন্সপেক্টর বাশার বলেন, প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনে শিক্ষকদের অনুমতি নেই। পাশাপাশি প্রেস ক্লাব এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি সচলে এ কর্মসূচি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তাই কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির দাবিতে নন–এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে টানা ওই অবস্থান ও অনশনের একপর্যায়ে গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাঁর তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে আশ্বাস দেন। এরপর শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। এরপর সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, আসন্ন অর্থবছরে নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে।

কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত বৃহস্পতিবার ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব করেন, সেখানে তিনি নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুষ্পষ্ট কিছু বলেননি। ফলে গতকল রোববার থেকে ফের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আজকের বাজার/এমএইচ