আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ২৯ জানুয়ারি সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট আহ্বান করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। এ ছাড়া ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সংহতি সমাবেশ এবং ২৮ জানুয়ারি সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে তাঁরা। বুধবার ২৪জানুয়ারি মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ইমরান হাবীব ।
প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, মার্কসবাদী সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ঐক্য ফোরাম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী।
চার দফা দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। চার দফা দাবি হচ্ছে গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার, গত ১৫ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের সঙ্গে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মামলা প্রত্যাহার, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় প্রশাসনকে বহন করা এবং অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়া।
সংবাদ সম্মেলনে গতকালের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান ইমরান হাবীব। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের একটি নির্দেশনা আছে। আমরা আশঙ্কা করছি যে পরিকল্পিতভাবে ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার ২৩ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার, গত ১৫ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের সঙ্গে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মামলা প্রত্যাহার, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় প্রশাসনকে বহন করা এবং অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনসহ চার দফা দাবি উত্থাপন করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
আজকের বাজার:এসএস/২৪জানুয়ারি ২০১৮