বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চাল মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধ মজুতের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধ মজুতদারদের ভোক্তা আধিকার আইন, অবৈধ মজুত সংক্রান্ত আইনসহ সব আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে।
২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি বন্যায় হাওরে যে ক্ষতি হয়েছে তাতে চালের সংকট দেখা দেয়। কিন্তু ওই সংকট মেটাতে যে চাল আমদানি হচ্ছে তা তুলনামূলক বেশি। কিছুদিনের মধ্যে চালের দাম কমতে শুরু করবে।
গত ১০ দিনে হঠাৎ চালের দাম বেড়ে গেছে। বাজারের তথ্য অনুযায়ী, সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬-১০ টাকা। অভিযোগ উঠেছে, অবৈধভাবে চাল মজুতের কারণে এই দর বেড়েছে। চাল মালিকরা আড়তে চাল রেখে বাজারে সঙ্কট সৃষ্টি করেছে।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রীরা চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেন। তবে বৈঠকে ব্যবসায়ীরা তাদের বিরুদ্ধ আনা অভিযোগ নাকচ করে বলেন- চাল সংরক্ষণ ও পরিবহনে বাধ্যতামূলকভাবে পাটের বস্তা ব্যবহারের কারণে চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে। চটের বস্তার কারণে প্রতি কেজিতে এক টাকা খরচ বাড়ে। কিন্তু প্লাস্টিকের বস্তা অনেক সাশ্রয়ী। প্লাস্টিকের বস্তায় খরচ হয় মাত্র ১৫/১৬ পয়সা। যদি চটের বস্তা ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা স্থগিত করা হয় তবে আমদানিতে প্রতি কেজি চালের দাম দুই টাকা কমবে।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,এখনই চটের বস্তায় চাল আমদানির সরকারি বাধ্যবাধকতার সিদ্ধান্ত আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হল। এখন যে যেভাবে পারেন চাল আমদানি করেন। আমরা এনবিআর ও কাস্টমসকে বলে দিচ্ছি। কেউ বাধা দেবে না। প্লাস্টিকের বস্তাসহ ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে খুশি চাল পরিবহন করতে পারবেন।
আজকের বাজার : এলকে/এলকে ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭