শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ডাম্প ফেরি চালু

নাব্যতা সংকটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের ফেরি সার্ভিসের অচলতা পুরোপুরি কাটেনি। তবে শনিবার অষ্টম দিনের মাথায় জোড়াতালি দিয়ে সচল করা হয়েছে ডাম্প ফেরি।

এই রুটের মূল চ্যানেল লৌহজং টার্ণিংয়ে নাব্যতা সংকট নিরসন করে পুরোপুরি সচল করার কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। এখনও রো রো ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, সকালে দুটি ডাম্প ফেরি অপেক্ষাকৃত কম ছোট গাড়ি লোড করে কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে অপেক্ষামান আরো ৪টি ডাম্প ফেরিতেও ছোট গাড়ি লোড করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই ফেরিগুলোও চালানোর চেষ্টা করা হবে।

তবে এই রুটে গত ৮দিনেও কোনো ভারী যানবাহন নিয়ে ফেরি চলার উপযোগী করা হয়নি।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদে ঘরমুখো মানুষকে বরাবর শিমুলিয়া ঘাট যে সেবা দিয়ে থাকে এবার তা দেয়া কোনভাবেই সম্ভব হবে না। প্রতিদিন সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্বও বঞ্চিত হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, ঈদুল আযহার আর মাত্র তিন দিন বাকী। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের সড়কপথে যোগাযোগের পথ এটি। ইতোমধ্যে ঈদের ছুটি পেয়ে গেছেন অনেকে। বাড়ি যেতে হবে। ভীড় করছেন ঘাটে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের বসে থাকতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ঈদে উপলক্ষে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার যান এই ফেরি দিয়ে আমরা পার করতাম। আর এখন সেখানে হাজার বারশ’ যান চলছে। আজ ডাম্প ফেরিগুলো চালাচ্ছি। হয়তো একটু বেশি গাড়ি পার করতে পারব।

খন্দকার শাহ খালেদ আরও বলেন, এখন ফেরি চলছে ওয়ান ওয়েতে। অর্থাৎ এক দিক থেকে আসা ফেরি চ্যানেলে থাকলে অন্য দিক থেকে আসা ফেরিকে চ্যানেলের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। এতে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় বেশি লাগবে। আর কোনোভাবে যদি দুটি ফেরি চ্যানেলে ঢুকে যায় তাহলে দুর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে। তাই ফেরিগুলো চলতে হবে সতর্কতার সাথে।

তিনি বলেন, কবে এই সমস্যার সমাধান হবে বলা যাচ্ছে না। গত ৬/৭ দিন ধরে এই ঘাটে কোনো ট্রাক ঢুকতে দেয়া হয়নি। মাওয়া চৌরাস্তা থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। আর আটকাপড়া ট্রাকগুলো একটা দুটো করে পার করা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় তিন মাস আগে উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানির সাথে পলি জমে নৌরুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের মুখে একটি ডুবো চরের সৃষ্টি হয়। মে মাস থেকে এই ডুবোচর নিরসনে ড্রেজিং চলছে। তারপরও নাব্যতা সংকট দূর হচ্ছে না।

আজকের বাজার/এমএইচ