শিরোপা জিততে মরিয়া বাংলাদেশ

প্রথমবারের মতো কোন টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের হাতছানি বাংলাদেশ দলের। তবে এর আগেই একটা বড় ধাক্কা খেয়েছে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার কাছে বড় লজ্জা তো পেয়েছেই, সঙ্গে যোগ হয়েছে রেকর্ড হারও। তাই ফাইনালের আগে ভীষণ সতর্ক বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে হারার পর নিজেদের ভুল নিয়ে আলোচনা করেছেন। দলের চেষ্টা থাকবে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ফাইনালেই ঘুরে দাঁড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার। এই সাম্প্রতিক অতীত ভুলে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় নিয়েই শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা লড়াইয়ে নামছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। নিজেদের চেনা ছন্দে ফিরে শিরোপায় চুমু খেতে মরিয়া হয়েই আছেন টাইগাররা।

এদিন মিরপুরে অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রত্যয়ই ঝরলো অধিনায়ক মাশরাফির কণ্ঠে, ‘ফাইনাল ম্যাচে জেতার জন্য আমরা উদগ্রীব হয়ে আছি। এটা সত্যি কথা। প্রথমবারের মতো হবে যদি হতে পারি। তবে এটা হওয়ার আগ পর্যন্ত বেশি চিন্তা করলে চাপ এসে দাঁড়ায়। ফাইনাল ম্যাচে চাপ থাকেই। কাল (বৃহস্পতিবার) জিতলেও থাকত। কাজেই একটা চাপ থাকে, ওটা থাকবেই। সব কিছু নির্ভর করছে কেমন শুরু করব তার উপর। কালকে প্রথম ১০ ওভারেই কিন্তু খেলা ওদের দিকে চলে গিয়েছিল, যেখান থেকে আমরা ফিরে আসতে পারিনি। এমন পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, বুদ্ধি করে যেন খেলতে পারি। এই পরিস্থিতিগুলা সামলানো কঠিন হবে। যারা স্নায়ুর ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে তারাই এগিয়ে থাকবে।’

ফাইনালের আগে নিজেদের নিয়েই ভাবছেন অধিনায়ক। প্রতিপক্ষকে নিয়ে না। কিন্তু চাইলেই কি আগের দিনের ওই ধরনের হারকে রাতারাতি ভুলে যাওয়া যায়? মাত্র ৮২ রানে অল আউটের হওয়ার লজ্জার সঙ্গে ১০ উইকেটের হার। তাও মাত্র ১১.৫ ওভারেই। তাই ফাইনালের আগে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা নিয়ে নতুন দৃষ্টিকোণে ভাবতেই হচ্ছে টাইগারদের। মাশরাফির ভাষায়, ‘যেভাবে আমরা হেরেছি ওটা অবশ্যই আমদের জন্য খুব স্বস্তির বিষয় ছিল না। যে পরিস্থিতি ছিল দুশো করলে অন্যরকম হতো। আর হ্যাঁ। ফাইনালের আগে এমনিতেই চাপ থাকবে। ফাইনালের আগে হারায় ওইদিক থেকে সমতায় এসেছে। সবাই আরেকটু চিন্তায় থাকতে পারে মাঠে। এটাকে আমি ভালোভাবে দেখি। কারণ, এতে সবাই আরও সতর্ক থাকবে।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারকে নিছক একটি বাজে দিন হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন মাশরাফি। এর চেয়ে ভালো খেলার সামর্থ্য টাইগারদের রয়েছে তার প্রমাণ দিয়েছেন টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচেই। কিংবা তার আগে দেশে এবং বিদেশে। এখানে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়ে তিন ম্যাচেই জিতেছিল বোনাস পয়েন্টসহ। দুই ম্যাচ খেলেই সবার আগে ফাইনালে। তাই আগের তিন ম্যাচের মতোই ফাইনালে খেলার প্রত্যয় ঝরছে মাশরাফির কণ্ঠে।

মাশরাফির কণ্ঠে ফাইনালে লঙ্কানদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ও প্রত্যয়। আর তা করতে পারলেই একেবারে প্রথম এক উৎসবে মাতবে এই ক্রিকেটপাগল জাতি। ষোলকোটি মানুষের প্রার্থনার যোগফলে এবার একটি উৎসবের অপেক্ষা।

আজকের বাজার: সালি / ২৬ জানুয়ারি ২০১৮