শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহন নিষিদ্ধে ৬ মাসের মধ্যে আইন প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত ‘শিশুদের ভারী স্কুলব্যাগ বহন করা যাবে না’ এই মর্মে এক মাসের মধ্যে সার্কুলার জারি করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাসুদ হাসান দোলন।
এর আগে গত বছরের ১১ আগস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিশুদের শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহন নিষিদ্ধ ও প্রি-প্রাইমারি শিশুদের স্কুলব্যাগ বহন না করতে আইন প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আইন সচিব, শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি হয়।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শিশুদের ভারী স্কুলব্যাগ বহন নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ৩ আইনজীবী একটি রিট আবেদন করেন। আইনজীবীরা হলেন- এসএম মাসুদ হোসেন দোলন, মো. জিয়াউল হক ও আনোয়ারুল করিম।
এ বিষয়ে রিটের পর অ্যাডভোকেট মাসুদ হোসেন দোলন বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্র সরকার শিশুদের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহন না করার একটি নির্দেশনা জারি করেছে। আমাদের সরকারও যেন এরকম একটি আইন করে, এজন্যই এ রিট আবেদন করা হয়।
সুত্র:দ্য রিপোর্ট
