শিশু রাজন হত্যা, আপিলের রায় ১১ এপ্রিল

সিলেটের আলোচিত শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় আসামিদের করা আপিলের ওপর রায় আগামী ১১ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে। এই মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে রবিবার (১২ মার্চ) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী ডেপুটি এটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির। অপরদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম আবুল হোসেন, বেলায়েত হোসেন ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী। এই মামলায় চলতি বছর ৩০ জানুয়ারি আপিল ও ডেথ রেফারেন্স ‍শুনানি শুরু হয়। ১৯ কার্যদিবস শুনানি শেষে রবিবার রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করা হলো। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিতে এটি বিচারের ইতিহাসে একটি নজির হিসেবে উল্লেখ থাকবে বলে মনে করেন আইন সংশ্লিষ্টরা।

২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় হওয়া মামলায় দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে একই বছর ১৬ আগস্ট ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা সুরঞ্জিত তালুকদার।

২০১৫ সালের ১ অক্টোবর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৬ জন সাক্ষ্য দেন আদালতে। বিচার শেষে একই বছর ৮ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ১৩ আসামির মধ্যে ফিরোজ মিয়া, আজমত উল্লাহ ও রুহুল আমিন নামে তিন আসামি খালাস পান।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় নূর মিয়া। সাত বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে- কামরুলের তিন ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদের। এক বছর করে দণ্ড হয়েছে দুলাল আহমদ ও আয়াজ আলীর।

কামরুলের আরেক ভাই শামীম আহমেদ ও জাকির হোসেন পাভেল আহমেদ পলাতক রয়েছেন।