শুরু হল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা

মহালয়া শেষ হওয়ার পর পিতৃপুরুষকে তর্পণের মাধ্যমে পিতৃপক্ষের শেষ, চণ্ডীপাঠের মধ‍্য দিয়ে দেবীপক্ষ শুরু। দেবীপক্ষের শুরুর সাথে সাথে হিমালয় থেকে মা মহামায়াকে মর্ত‍্যে আহবান করা হয়, সকল আসুরিক শক্তির দমন করে মা যেন সকলের মাঝে শান্তি দান করে এ প্রার্থনা করা হয়। বৃষ্টিস্নাৎ শিউলীর রহস‍্যময় চেহারাই বলে দেয় শরতে মা মহামায়ার আগমনী বার্তা। মেঘ রোদ্দুরের লুকোচুরির মাঝে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শ্রী শারদীয় দুর্গোৎসব, আগমনীর সূরের মূর্ছনায় দোলে ওঠে প্রাণ। দীর্ঘ সময় পর করোনা মহামারীর সাথে যুদ্ধে টিকে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবারও বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আনন্দে মেতে উঠতে যাচ্ছে তাদের প্রাণের উৎসবে। শেরপুরে শারদীয় দুর্গোৎসবের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রায় অষ্টাদশ শতকের সময় থেকে শেরপুরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়,জামালপুর, বাংলা বিভাগের ডিন ডঃ সুধাময় দাস জানান, শেরপুরে জমিদারদের সময় থেকে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দুর্গোৎসব নিয়ে জমিদার ও নাগ পরিবারের মধ‍্য একটি প্রতিযোগিতা সব সময় ছিল তবে নাগ পরিবারের পূজা ছিল সার্বজনীন। পূজ উদযাপন – বির্সজন নিয়ে জমিদার ও নাগদের মাঝে দ্বন্দ্বও হত। আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশের মধ‍্য দিয়ে পূজা উদযাপন হত। কিন্তু পারিবারিক পূজার সংখ‍্যা ছিল বেশি এখন বারোয়ারি পূজা বেশি হচ্ছে এতে সকলে অংশগ্রহণ করতে পারছে কারণ জমিদারদের পূজার আয়োজনে সকল জাতের লোক অংশগ্রহন করতে পারত না। ” প্রতি বছরের ন‍্যায় এবারও শেরপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হতে যাচ্ছে এ উৎসবটি। ব‍্যস্তময় সময় কাটাচ্ছে শেরপুরের মূর্তি কারিগররা, বিভিন্ন ক্লাব এবং বাড়িতে যারা এ আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। এবার শেরপুর জেলার মোট পূজার সংখ্যা ১৫১। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৬৬, নালিতাবাড়ী ৩৭, ঝিনাইগাতী ২০, নকলা ১৯ এবং শ্রীবরদীতে ৯টি পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পূজা উদযাপন পরিষদ শেরপুর জেলার সভাপতি এ‍্যাডভোকেট সুব্রত দে ভানু বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে যেন সকলে মিলে পূজা উদযাপন করতে পারি, প্রশাসন এ ব‍্যাপারে সতর্ক রয়েছে, সকলের জন‍্য প্রার্থনা করি সকলে যেন কোভিডমুক্ত হতে পারি “