শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরে আপন জুয়েলার্স-রেইনট্রির মালিক

মজুদ স্বর্ণ-ডায়মন্ড এবং অবৈধ মদ সংরক্ষণের ব্যাখ্যা জানাতে রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দার সদর দপ্তরে হাজির হয়েছেন আপন জুয়েলার্স ও রেইনট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষ।

শুল্ক গোয়েন্দার তলবে সাড়া দিয়ে আজ ১৭ মে বুধবার সকাল ১১টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দার সদর দপ্তরে হাজিন হন দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক; সঙ্গে রয়েছেন তাদের আইনজীবীরাও। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ শাফিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আপন জুয়েলার্স ও বনানীর রেইনট্রি হোটেল মালিকদের তলব করে গত ১৫ মে সোমবার চিঠি দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি নামের হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্নভাবে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মেসার্স আপন জুয়েলার্স এর মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম ও তার ছেলে সাফাত আহমেদ এর চোরাচালানের সাথে যুক্ত থাকার তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছে।

গত রোববার শুল্ক গোয়েন্দাদের একটি দল আপন জুয়েলার্সের গুলশান, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাক শাখায় অভিযান চালিয়ে ২৮৬ কেজি স্বর্ণ ও ৬১ গ্রাম ডায়মন্ড এবং গত সোমবার গুলশান-২ এর সুবাস্তু টাওয়ার শাখা থেকে আরও ২১২ কেজি স্বর্ণ ব্যাখ্যাহীনভাবে মজুদ রাখার দায়ে সাময়িক জব্দ করে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ‌ওই স্বর্ণ ও ডায়মন্ড সাময়িকভাবে আটক করে শুল্ক আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এখন এসব মূল্যবান পণ্যের কাগজ-পত্রাদি যাচাই করা হবে। এ অনুসন্ধানে কোনো অনিয়ম প্রমাণিত হলে এ প্রতিষ্ঠান ও মালিকদের বিরুদ্ধে চোরাচালান ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে দ্য রেইনট্রি হোটেলে অভিযান চালিয়ে শুল্ক গোয়েন্দার দল ১০ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এই মদ উদ্ধারের সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ বারের লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে রেইনট্রি মালিককে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/১৭ মে ২০১৭