‘শূন্য’ থেকে কোটিপতি (!) পঞ্চগড়ের শিক্ষক রবিউল

পঞ্চগড়ের উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি। বর্তমানে বোদা পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক। দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে জেলা শিক্ষা অফিস। বলা হচ্ছিল প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল আলম সাবুলের কথা। আর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক)কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মকলেছার রহমান জিল্লু।

অভিযোগে বলা হয়, রবিউল ২০১০ সালে বোদা পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর প্রা্য় অর্ধ্ব শতাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। সবার কাছ থেকে প্রায় ৫/৭ লাখ টাকা নিলেও বিদ্যালয়ের তহবিলে কোন টাকা জমা দেননি। এমনকি অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেটধারীদেরও শিক্ষককে হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়া, বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয়ের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ব্যক্তিগত কাজে খরচ, শিক্ষার্থীদের সেশন ও ভর্তি ফি ১১শ থেকে ১২শ টাকা করে আদায় করে ৫০০ টাকার রশিদ প্রদান, শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্র ও মূল সনদ নিতে ৫০০ টাকা নেয়া, বিদ্যালয়ের গাছ কেটে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র নিজ বাড়িতে ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে রবিউলের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগ বলা হয়, দুর্নীতির করেই রবিউল তার দুই সন্তানকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন। আয়ূবগঞ্জ মৌজায় ৫১ লাখ টাকায় ১০/১২ বিঘা জমি কিনেছেন। পাঁচতলা মার্কেট, বাজার মসজিদ সংলগ্ন গোডাউন ঘর, ব্যাংক ও বাড়িতে লাখ লাখ টাকা ও প্রচুর গহনা জমিয়েছেন।

তবে নিজের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলো অস্বীকার করে রবিউল আলম বলেন,‘সংবাদ সম্মেলন করে সব অভিযোগের ব্যখ্যা দেওয়া হবে। ব্যাংকিং মাধ্যমে আমাদের সব হিসাব পরিচালিত হয়। আমার নিজের নামে হাউজ বিল্ডিংয়ের ঋণ আছে। ’ যোগাযোগ করা হলে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহীন আকতার বলেন,‘দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক)চিঠির প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছি। আরও সময় লাগবে।’ সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান