শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

দেড় যুগ আগে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা হত্যা চেষ্টা মামলার বিচারিক কার্যক্রমের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে হাইকোর্ট।

একইসাথে তিন মাসের মধ্যে এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

মামলার আসামি রাকিবুর রহমানের ক্ষেত্রে মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

ফলে দীর্ঘদিন আটকে থাকা মামলাটির বিচার চলতে আর কোনো বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর।

আজ আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এসএম মুনীর ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।

ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পরে সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় ওই দিন হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়। ২০১৫ সালের ১৭ মে বিএনপির তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক চার্জশিট দেয় পুলিশ।

তবে, হত্যাচেষ্টা মামলার এক আসামি রকিব ওরফে রাকিবুর রহমানের বয়স ঘটনার সময় ১০ বছর ছিল উল্লেখ করে হাইকোর্টে মামলা বাতিলে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট মামলার বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করে। রুলে রাকিবুর রহমানের ক্ষেত্রে এ মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সেই রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। গত ৬ অক্টোবর শুনানি শেষে রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছিল হাইকোর্ট।

রায়ের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর বলেন, ‘আদালত রুল খারিজ করে দিয়েছে। আর যেহেতু পুরোনো মামলা তাই তিন মাসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে বলেছে। সেই সাথে আবেদনকারীকে শিশু বলা হলেও চার্জশিট দেয়ার সময় তার বয়স ১৬ বছরের বেশি ছিল। তাই শিশু আদালতে তার বিচারের প্রয়োজন নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০০২ সালের ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া আরও দুটি মামলার বিচারিক কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহে ওই দুটি মামলার বিষয়ে শুনানি শুরু হবে।’