পুঁজিবাজারের দুরবস্থার কারণ: আমাদের পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা হঠাৎ করেই সৃষ্টি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে অন্যায় অনিয়ম চলেছে সেটার ফল আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। সবচেয়ে বড় সমস্যায় ফেলেছে রেগুলেটর। রেগুলেটরের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম পুঁজিবাজারে হয়েছে। ভালো শেয়ারগুলো মার্কেটে আসার সুযোগ পায়নি। খারাপ শেয়ার মার্কেটে এসেছে। ফলে মার্কেটে বিনিয়োগকারীরা বঞ্চিত হয়েছে। মার্কেট থেকে প্রচুর টাকা বেরিয়ে গেছে। সর্বোপরি যারা এখানে বিনিয়োগ করেছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। আস্থার সংকট কেন তৈরি হয়েছে ? এর মূল হোতা কারা ? এদের যদি আমরা খুঁজে বের করতে পারি, আস্থা সংকট সৃষ্টির পেছনে মূল যে কাজগুলো হয়েছে সেগুলোকে আমরা বন্ধ করতে পারবো। নতুন আঙ্গিকে কাজ শুরু করলে আমরা পুঁজিবাজারকে আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌছাতে পারবো।
পুঁজিবাজারের মূল স্ট্রাকচারের মধ্যে আছে স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকার, রেগুলেটারি প্রতিষ্ঠান। রেগুলেটর যখন কোন আইন করবে, সে আইন চিন্তা গবেষণা করে করতে হবে। সে আইন দীর্ঘমেয়াদী ৫ থেকে ১০ বছর যেন চলতে পারে সেরকম হতে হবে। বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গবেষণা করে আইন প্রয়োগ করা উচিৎ।
স্টক এক্সচেঞ্জ একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। নিজস্ব একটা ফ্রেমআউট আছে এর। স্টক এক্সচেঞ্জকে তার নির্দিষ্ট কাজগুলো করতে দিতে হবে। পুঁজিবাজার এককভাবে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। সামগ্রিকভাবে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের নিয়েই কিন্তু পুঁজিবাজার। কাউকে বাদ দিয়ে, কারো উপর ডমিনেট করে, আইন করে এটা আপনাকে পালন করতেই হবে, এমন বিষয় না। পুঁজিবাজারে মানুষের আস্থার বিষয় আছে। আস্থাটাকে ফিরিয়ে আনতে হলে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের মতামত সুপরামর্শ নিয়ে আমাদের পুঁজিবাজারে কাজ করতে হবে। এভাবে কাজ করলে আমাদের পুঁজিবাজারকে কাঙ্খিত লক্ষে নিয়ে যেতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
আইসিবি’র গ্যারান্টেড ফান্ড: আইসিবিকে আমরা এক সময়ে দেখতাম মার্কেট মেকার হিসেবে। আইসিবি’র সমস্ত কার্যক্রম এক সময় মার্কেটের স্বার্থেই ছিল। মার্কেট যখন খুব হাই হয়ে যেত আইসিবি সেল করতো। যখন লো হয়ে যেত তখন আইসিবি বাই করত। বিভিন্ন কোম্পানির স্টেকহোল্ডার, ডিরেক্টরশিপ তাদের প্রতিনিধিত্ব করে কোম্পানির ভালো-মন্দ খোঁজ খবর নিত। মিউচুয়াল ফান্ডগুলো এক সময় ভালো মুনাফা দিত। সবকিছু মিলিয়ে আইসিবি মার্কেটে ভালো রোল প্লে করতো। আমি জানতাম একসময় মার্কেটে ১২ থেকে ১৩ শতাংশ ট্রেড করতো আইসিবি। এখন আইসিবি’র দৈন্যদশার কারণে পুরো মার্কেটই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই মার্কেট যখন ফল করে, মার্কেটকে সাপোর্ট দেওয়ার মতো কেউ থাকে না।
আইসিবি একটি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক। ক্যাপিটাল মার্কেটের স্বার্থে আইসিবিকে আমাদের শক্তিশালী করার দরকার ছিল। তা না করে আইসিবিকে দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। যাতে আইসিবি কোন কাজ করতে না পারে। আইসিবি কাজ করতে পারলে অন্যদের স্বার্থ নষ্ট হচ্ছে। মার্কেটকে মেনুপুলেট করে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করতে পারে। এজন্য তারা আইসিবিকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
এখন আমরা আশার বাণী দেখছি। সরকার পরিবর্তনের পরে এখানে আবু আহমেদ স্যারকে দেয়া হয়েছে। আমি জানি, আবু আহমেদ স্যারের মার্কেটে অনেক অভিজ্ঞতা আছে। আবু আহমেদ স্যার যদি দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে আইসিবিকে শক্ত হাতে পরিচালনা করেন, তাহলে আইসিবি তার পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে আমরা আশা করি। তিন হাজার কোটি টাকার ফান্ড আইসিবিকে দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এই ফান্ডের পরিমাণ আরো বাড়ানো উচিৎ। আইসিবি খুব সমস্যা সংকুল অবস্থায় আছে। এই ফান্ডটাকে যদি দশ হাজার কোটি টাকা করা যায়, আমি মনে করি আইসিবির যে ক্ষতি হয়েছে তা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রিকভারি করতে পারবে।
মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ড কোথায় কিভাবে বিনিয়োগ হয়েছে আমার জানা নেই। মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ডটাকে যদি আইসিবি’র হাতে পুরোপুরি তুলে দেয়া হতো এবং তা যদি বিএসইসি মনিটরিং করতো, এবং বিএসইসি ও আইসিবি দুজন সদস্যকে নিয়ে যৌথ কমিটি করে ব্যবস্থা করে দিলে ভালো হতো। ফান্ড ম্যানেজের দক্ষতা আমার মনে হয়, আইসিবির চেয়ে নতুন যারা ফান্ড ম্যানেজ করছে তাদের বেশি নয়।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে প্রত্যাশা: রেগুলেটারির কাছে আমার প্রত্যাশা হচ্ছে, আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য নীতিগত সাপোর্ট। যখন আমাদের ফান্ড ক্রাইসিস থাকবে, ব্রোকার কমিউনিটি, আইসিবি’র যখনই যে ধরনের সাপোর্ট প্রয়োজন হবে সেটা দেয়ার চেষ্টা করা। ট্যাক্সের বিষয়গুলোতে এনবিআর এর সাথে রেগুলেটর আমাদের সাপোর্ট দিবে। রেগুলেটরের যে নিজস্ব রুলস রেগুলেশন, সেগুলো দীর্ঘমেয়াদী অন্ততপক্ষে ১০ বছরের আগে কোন রুলস পরিবর্তন না করে, তাহলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আসবে।
ফরেন ইনভেস্টমেন্ট একটি আইন দেখে বিনিয়োগ করলেন। বিনিয়োগ করার পর আপনি তিন মাস পরে আইন পরিবর্তন করে দিলেন। তাদের বিনিয়োগ আটকে গেল অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এই ক্ষতিগ্রস্তদের দায় কে নিবে। সুতরাং যতগুলো আইন হবে সব আইন দীর্ঘমেয়াদী হতে হবে এবং বাজার বান্ধব হতে হবে। বাজার বান্ধব আইন কিনা আপনি কিভাবে যাচাই করবেন? সেটা স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শের ভিত্তিতে হতে হবে। কারণ দীর্ঘমেয়াদী আইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা গবেষণার মাধ্যমে যদি না হয়। সেই আইনটা খুব বেশি কার্যকর হবে না। বাজারের জন্য লাভজনক হবে না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয়:
শেয়ারবাজারকে স্ট্যাবল করার জন্য মূল কাজ হচ্ছে, বিনোকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। কি করলে বিনিয়োগ কারীদের আস্থা আসবে, সে বিষয়গুলো আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর জন্য মূল কাজ বাজারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ইস্যুআর কোম্পানিগুলোর মধ্যে ট্রান্সপারেন্সি নিয়ে আসতে হবে। পাবলিকের টাকা তাদেরকে বিশ্বাস করে দেয়া হয়েছে ব্যবসা করার জন্য। তারা একটা কোম্পানি দিয়ে চারটা পাঁচটা কোম্পানি তৈরি করছে। বিনিয়োগকারীদের ন্যায্য লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করছে। লিস্টেড কোম্পানিগুলোর নজরদারি বাড়াতে হবে। লিস্টেড কোম্পানিগুলোকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এটা শুধু মুখে বললে হবে না। বিএসইসি ও ডিএসই’র একাউন্টসের শক্তিশালী ডিপার্টমেন্ট থাকতে হবে। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে একাউন্টসগুলোকে ভেরিফাই, অডিট করা হবে। তারা এই হিসেবের মধ্যে কোন জালিয়াতি করেছে কিনা, এটা ধারাবাহিক একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে হতে হবে। তখন তারা ভালো লভ্যাংশ দেওয়া শুরু করবে। লিস্টেড কোম্পানির উপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা আসবে।
আপনাকে একটি উদাহরণ দেই রেকিট বেনকিজার দশ টাকার শেয়ার পাঁচ হাজার টাকা মার্কেটে হয়েছে। এই পাঁচ হাজার টাকা কোম্পানি তার নিজস্ব ফিনান্সিয়াল স্ট্রেন্থ দিয়ে এই অবস্থান তৈরি করেছে। এ সমসাময়িক বাজারে কোম্পানি আছে প্রাণ-আরএফএলের শেয়ার মূল্য ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। এ কোম্পানি বাজারে লিস্টেড হওয়ার পর তারা ২০- ৫০ টি কোম্পানির মালিক। এই কোম্পানির শেয়ার প্রাইস পাঁচ হাজার টাকা হয়নি। যদি রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশের আইন-কানুন মেনে ট্যাক্স, ভ্যাট আদায় করে তাদের শেয়ারকে দশ টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকায় নিতে পারে। তাহলে প্রাণ-আরএফএল-এর শেয়ার আজকে ২০০ টাকা কেন ? এসিআই শেয়ার দেড়শ টাকা কেন ? এই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। রেকিট বেনকিজার ট্রান্সপারেন্টলি বিজনেস করছে। ডিসক্লোস ট্রান্সপারেন্টলি করছে। বিনিয়োগকারীকে ঠকাচ্ছে না। অন্যান্য কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের ঠকাচ্ছে। প্রফিট কম দেখাচ্ছে সেলস কম দেখাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আজকের এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।
আমাদের বাজারে যে শেয়ারগুলো বিক্রি হয় তার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যারা ব্রোকার কমিউনিটি, মার্চেন্ট ব্যাংক, আমাদের সঠিক রোল প্লে করছি কিনা, এটাও স্বচ্ছভাবে মনিটরিং করা উচিৎ। সেটা প্রাইমারি মনিটর হিসেবে ডিএসই দেখবে। ডিএসই বড় ধরনের কোন সমস্যা পেলে সেটা বিএসইসি’র কাছে রেফার করে সমাধান করবে।
ডিএসই আমাদের অফিস ভিজিট করতে আসলো, কমপ্লেন রেজিস্টার নাই কেন? ডিএসই- বিএসইসি’র কাছে পাঠিয়ে দিল। বিএসইসি আমার লোকজনকে হেয়ারিং ডাকল। বিএসইসি’র কাজ যদি এটা হয় তাহলে আসল কাজ কখন করবে? আমি একদিন বিএসইসি’র মিটিংয়ে বলেছিলাম, আপনারা যদি এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন আপনাদের তো অনেক বড় কাজ আছে। আমাদের ব্রোকারেজ হাউজের কোন ক্লায়েন্ট ইনটেনশনালি কমপ্লেইন করল, আপনারা এটা নিয়ে তোলপাড় শুরু করে দেন। পত্রপত্রিকায় নিউজ করে দেন। আমি দোষী না নির্দোষ, সেটা যাচাই করার আগেই নিউজ করে দিলেন। বিএসইসিতে যখন কেউ কমপ্লেইন করবে তখন সাথে সাথেই সেটা পত্রিকায় চলে আসছে বিএসইসি’র মাধ্যমে। বিএসইসি সিল দেয়া পেপারস চলে আসছে আমাদের কাছে।
আমি বিএসইসি’র স্টেক হোল্ডার ফ্যামিলি মেম্বার। বিএসইসি আমার সুনাম নষ্ট করে দিচ্ছে বিনিয়োগকারীদের কাছে। বিনিয়োগকারীরা কে দোষী কে নির্দোষ সেটা দেখবে না। তারা পত্রিকায় নিউজ দেখে। আমাদের দেশে পত্রিকায় নিউজ হলেই ধরে নেয় ঘটনা সত্য। মিথ্যে ঘটনা নিয়েও তো নিউজ হচ্ছে। আমার কোম্পানির সুনাম নষ্ট হচ্ছে। ব্রোকার কমিউনিটির সুনাম নষ্ট হচ্ছে। আল্টিমেটলি পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আস্থার সংকট অনেকগুলো বিষয়ের উপর জড়িত। আপনারা কিছু হলেই পত্র-পত্রিকায় না দিয়ে টেকওভার করেন। যদি দেখেন সমাধানযোগ্য তাহলে সমাধান করে দেন। যদি সমাধানযোগ্য না হয় শাস্তিযোগ্য হয় শাস্তি দেনঅ তখন পত্রপত্রিকায় আসুক। আমরা বলি না গোপন রাখতে। কিন্তু সেটা শাস্তি হবার পর পত্রপত্রিকায় দিবেন। পুরো ইনভেস্টর্স কমিউনিটিকে সঠিক ট্রেডে চালাতে হবে।
বাজারের সবচাইতে বড় সমস্যাটা হচ্ছে ইনসাইডার ট্রেডিং। আমরা দেখেছি, এই বাজারে অনেক লিস্টেড কোম্পানি আছে তাদের মূল বিজনেস থেকে বেশি অগ্রাধিকার দেয় শেয়ারবাজারে ব্যবসা করা। শেয়ারবাজার থেকে তারা ক্যাপিটাল গেইন করে। তাদের নিজস্ব শেয়ার নামে বেনামে ক্রয় বিক্রয় করে লাভবান হতে চায়। ইনসাইডার ট্রেডিং বন্ধ করতে হবে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ:
বিনিয়োগকারীদের আমি সব সময় বলি লোন মার্জিন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের শেয়ার বাজার লোনের বাজার না। বিনিয়োগ করতে হবে সেভিংস এর চিন্তা করে। সেভিংস থেকে যদি আমরা বিনিয়োগ করি তাহলে আমরা হতাশ হবো না। আমি যদি ভালো কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করি দীর্ঘ মেয়াদে আমি গেইনার হবোই। দীর্ঘমেয়াদে আমার কোম্পানি গেইন করবে। আমি যদি না বুঝে মানুষের কথায় শেয়ারে বিনিয়োগ করি তাহলে লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই। বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্য আমি বলবো আপনারা ধৈর্য ধরবেন। আপনি যখন কোন একটি কোম্পানি শেয়ার ক্রয় করবেন, শেয়ার বাজার উঠানামা করবেই দাম কমলে হতাশ হবেন না। কোম্পানির প্রোডাকশন – সেল যদি ঠিক থাকে তাহলে দাম কমলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কোম্পানি থেকে ডিভিডেন্ড নিব। কোম্পানিগুলোর ডেভিডেন্ড দেয়ার নিশ্চয়তা রেগুলেটর দেখবে। সঠিকভাবে লাভ করে ডেভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন করছে কিনা। বিনিয়োগকারীদের ঠকাচ্ছে কিনা। বিনিয়োগকারীদের আস্থা এবং ধৈর্যের সাথে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। আমার পরামর্শ সেভিংসের টাকা শেয়ারবাজারে আনেন। লোন করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা আমি কোন অবস্থাতেই সমর্থন করি না।
ফার্স্ট ক্যাপিটেলের পরিকল্পনা:
শুরু থেকেই অন্যান্য ব্রোকারের চেয়ে ফাস্ট ক্যাপিটাল ভিন্ন আঙ্গিকে কাজ করার চেষ্টা করছে। আমরা আমাদের বিনিয়োগকারীদের সবসময় চেষ্টা করি সাপোর্ট দেয়ার জন্য। বিনিয়োগকারীদের নাম্বার ওয়ান সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করছি। বিনিয়োগকারীদের মার্কেট সম্পর্কে সচেতন করার জন্য আমাদের সাপোর্ট টিম কাজ করে। আমাদের মার্কেট রিসার্চের সাপোর্ট টিম আছে। আমাদের নিজস্ব ওএমএস আছে। ওএমএস এর মাধ্যমে আমরা বিনিয়োগকারীদের হাতের মুঠোয় ট্রেডিং এর ব্যবস্থা করেছি। ওয়ানস্টপ সার্ভিস চলে আসছে আমাদের। একজন বিনিয়োগকারী অফিসে না এসেই ট্রেডিং করতে পারবে। পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকেই বিনিয়োগকারী অনলাইনে আমাদের ট্রেডিংয়ের সাথে যুক্ত হতে পারবে। বিও অ্যাকাউন্ট ওপেন থেকে শুরু করে সবকিছুই রিসিভ- পেমেন্ট অনলাইনের মাধ্যমে পাবে। আমাদের কাস্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সব সময় কাস্টমারের স্বার্থেই নিরলস কাজ করছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের সেবা এবং তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করা।
কাউসার আল মামুন
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ লিমিটেড