অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৬২ সালের এদিনে তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।
একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ হিসেবে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে কুটনীতিক ও রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের কাছে তিনি বাংলার বাঘ এবং হক সাহেব নামে পরিচিত ছিলেন।
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও তিনি কলকাতার মেয়র, সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, গভর্নর এবং পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা শেরে বাংলার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শেরে বাংলা এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজসংস্কারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। বাংলার শোষিত ও নির্যাতিত কৃষকসমাজকে ঋণের বেড়াজাল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে তার উদ্যোগে গঠিত ‘ঋণ সালিশি বোর্ড’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলেও আবদুল হামিদ তার বাণীতে উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য তার অসীম মমত্ববোধ ও ভালোবাসা এদেশের মানুষকে চিরদিন অনুপ্রাণিত করবে।
জমিদারগণ রায়তদের ওপর যে আবওয়াব ও সেলামি ধার্য করতেন, তিনি তার বিলোপ সাধন করেন। তার সাহসী নেতৃত্ব, উদার ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য জনগণ তাকে ‘শেরে বাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ খেতাবে ভূষিত করেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।