শেষ টি-২০ জিতে জিম্বাবুয়েকে তিন ফর্মেটেই হোয়াইটওয়াশ করতে চায় বাংলাদেশ

তিন ফরম্যাটের সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। সফরের শুরুতে একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারায় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজের জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা। টেস্ট ও ওয়ানডেতে শতভাগ সাফল্য নিয়ে দুর্দান্ত জয় দিয়ে টি-২০ সিরিজও শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম টি-২০ ৪৮ রানে জিতে টাইগাররা। আগামীকাল দ্বিতীয় টি-২০ জিতলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। সেই সাথে প্রায় এক মাসের সফর জয় ছাড়াই শেষ করতে জবে জিম্বাবুয়েকে। পুরো সফরে জিম্বাবুয়েকে সবগুলো ম্যাচে হারানোর লক্ষ্যই ছিলো বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টেল-এন্ডার ব্যাটসম্যান ডোনাল্ড তিরিপানোর ব্যাটিং দৃঢ়তায় ম্যাচ নিয়ে কিছুটা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলো বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৪ রানে ম্যাচ জিতে নেয় মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন দলটি। ফলে এক ম্যাচ বাকী রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। বাজে সময় কাটানো বাংলাদেশ দলের এই সিরিজ জয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ার পর তৃতীয় ওয়ানডে ও অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ছিল আরো অনেক বেশি ভয়ঙ্কর।

অস্টম স্থানে থেকে গত বিশ্বকাপ শেষ করার পর থেকে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে বাজে সময় যাচ্ছিলো টাইগারদের। তবে জিম্বাবুয়ের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারায় স্বস্তির স্বাদ পায় টাইগাররা। বিশেষভাবে এ মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানে তৃতীয় ও শেষ দফার সফরের আগে নিজেদের প্রস্তুতিটা ভালোভাবে সাড়লো বাংলাদেশ। আসন্ন সফরে একটি ওয়ানডে এবং সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। তাই আগামীকাল দ্বিতীয় ও শেষ টি-২০তে জয় আরো বেশি আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা আছেন দুর্দান্ত ফর্মে । এমনকি বোলাররাও দুর্দান্তভাবে নিজেদের পারফরমেন্স প্রদর্শন করছেন। তাই বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। সিরিজে যখনই জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ, তখনই রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছে। প্রথম টি-২০ ম্যাচেও জুটিতে রেকর্ড গড়েন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তাদের দেখানো পথে হেটে ঝড় তুলে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ করেন সৌম্য সরকার।

বাংলাদেশ টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘ব্যাটসম্যানদের পারফরমেন্স দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত। বিশেষভাবে টপ-অর্ডারে, তামিম ও লিটন। উইকেট কিছুটা কঠিন ছিলো কিন্তু ব্যাটসম্যানরা ভালো করেছে। ব্যাটসম্যানরা তাদের শক্তির প্রমান দিয়েছে।’ পরিপূর্র্ণভাবে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের শেষদিকে আসলেও দলকে আত্মতুষ্টিতে না ভুগতে আহ্বান জানিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে পারিনা। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তবে আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে।’ দ্বিতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচে কিছুটা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতে পারে বাংলাদেশ। তামিমকে বিশ্রামে দেয়ার ব্যাপারে আলোচনাও আছে। টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের মত টি-২০ ক্রিকেটেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে বাংলাদেশ। টানা তিন ম্যাচসহ ১২বারের মুখোমুখিতে ৮টিতে জিতেছে টাইগাররা। ৪টিতে জয় পায় জিম্বাবুয়ে। আগামীকাল শেষ টি-২০ জিতে সফরে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর পাশাপাশি ভালো কিছু পেতে মরিয়া জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিন উইলিয়ামস বলেন, বোলিং করার সময় আমরা লেন্থ ভুল করি। ব্যাট হাতে টপ অর্ডারে বড় জুটি না হওয়া আমাদের ডুবিয়েছে। ঐসব জুটিগুলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এখানে ভাল করলে সম্ভবত আমরা প্রতিদ্বন্দিতা গড়ে তুলতে পারতাম। ২শ রান চেজ করা অনেক বেশি চাপের। কিন্তু আমাদের শট নির্বাচন করার বিষয়ে আমাদের আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। এটি খুবই সাধারন বিষয়।’তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান