শ্বশুরবাড়ির লোকদের চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ানোর অপরাধে শ্রীঘরে জামাই

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা সদরের শ্রীপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ির লোকদের চেতনানাশক খাওয়ানোর অভিযোগ  শনিবার সন্ধ্যায় জামাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত জামাই আক্তার হোসেন উপজেলার কাজলী গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মদ জানান, শ্বশুরবাড়ি থেকে কোনো জমিজমা না পেয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন জামাই আক্তার হোসেন। এরপর পরিকল্পনা করেন তাদের শায়েস্তা করার। আর এ কারণে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সবাইকে নিজে হাতে মিষ্টির সাথে বিষাক্ত চেতনানাশক খাওয়ান। কিছুক্ষণের মধ্যেই চেতনা হারান বাড়ির ৫ সদস্য। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

ওসি জানান, এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত আক্তার হোসেন বিষ খাওয়নোর কথা স্বীকার করেননি।

ভুক্তভোগীরা হলেন-আক্তার হোসেনের শ্যালক খসরু মোল্ল্যা (৩৫), তার ছেলে আরাফাত (৭), দুই শ্যালকের স্ত্রী শেফালী বেগম (২৮) ও নাছরিন বেগম (২৬), ভাইরা আব্দুর রহিমের মেয়ে সুমাইয়া (৫)।

আক্তার হোসেনের শাশুড়ি ফাতেমা বেগম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় জামাই আক্তার হোসেন মিষ্টি নিয়ে তার বাড়িতে আসেন। এ সময় জামাইয়ের কাছে লেবু ও আখের গুড় ছিল। এরপর আক্তার হোসেন নিজের হাতে আখের গুড়ের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে শ্যালক ও তাদের স্ত্রীদের শরবত বানিয়ে খাওয়ান। এ সময় সেখানে থাকা দুই শিশুও সেই শরবত পান করে। শুধু তিনি ও তার এক ছেলে সেই শরবত ও মিষ্টি খাননি।

শরবত খাওয়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই শিশুসহ মোট ৫ জন অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থার আরও অবনতি হলে তাদেরকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শাশুড়ি ফাতেমা বেগমের দাবি, শ্বশুরের সম্পত্তি না পেয়ে জামাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অমর প্রসাদ বিশ্বাস বলেন, চিকিৎসাধীন পাঁচজনেরই জ্ঞান ফেরেনি। তারা কেউই আশঙ্কামুক্ত নয়।