নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে আর খারাপ সময় পার করছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট। আর স্বভাবতই ব্যাপারটি মেনে নিতে পারছেন না দেশটির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুন রানাতুঙ্গা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ-পর্ব থেকেই বাদ পড়ার পর নিজেদের মাটিতে জিম্বাবুয়ের মতো তুলনামূলক খর্ব-শক্তির দলের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কা। এরপর ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে বেশ বদলে যায় দলের চেহারা, পরিবর্তন আসে অধিনায়ক ও কোচিং স্টাফদের লাইনআপেও। তবে তাতে লাভ হয়নি একটুও। ভারতের কাছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে স্বাগতিকদের ভূমিকায় থেকেই হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবেছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তাও আবার তিনটি ম্যাচেই পরাজয় বড় ব্যবধানে, দুটিতে ইনিংস পরাজয়। চান্দিমাল-হেরাথরা একটি ম্যাচকেও নিয়ে যেতে পারেননি পঞ্চম দিনে।
দলের এমন পারফরমেন্সে স্বাভাবিকভাবেই চটেছেন সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান ক্রিকেট বিশ্লেষক অর্জুন রানাতুঙ্গা। দলের দুঃসময়ের পেছনে ক্রিকেট স্বদেশী বোর্ডকে দায়ী করেছেন তিনি।
সিরিজ শেষে একে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সিরিজ আখ্যা দেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দীনেশ চান্দিমাল। অধিনায়কত্ব লাভের পর এটিই ছিল তার প্রথম সিরিজ। লঙ্কানদের ভরাডুবির পেছনে অনেকেই দায় চাপাচ্ছেন চান্দিমালের অপরিকল্পিত অধিনায়কত্বের ঘাড়ে। তবে রানাতুঙ্গার দাবি, দলের হারের পেছনে চান্দিমালের দোষ নেই। বরং বোর্ড ও টিম ম্যানেজমেন্টের ভুলেই হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে।
সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে রানাতুঙ্গা বলেন, অনতিবিলম্বে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) প্রধানের উচিত পদত্যাগ করা। লঙ্কান দলের ম্যানেজমেন্ট স্টাফদের তদন্ত করার জন্যও আইসিসিকে অনুরোধ করেন তিনি। বর্তমান সময়কে ‘অন্যতম জঘন্য’ আখ্যা দিয়ে তিনি হারের পেছনে দল ও ম্যানেজমেন্টের বিশৃঙ্খলাকে দায়ী করেন। রানাতুঙ্গা বলেন, খেলোয়াড়রা বোর্ড দ্বারা বাজেভাবে প্রভাবিত হওয়ায়ই মাঠের খেলায় এমন নেতিবাচক ফল এসেছে। সাবেক সতীর্থ ও লঙ্কানদের নির্বাচক কমিটির প্রধান সনাথ জয়াসুরিয়াকেও একহাত নিয়েছেন রানাতুঙ্গা।
অর্জুন রানাতুঙ্গার সাথে শ্রীলঙ্কা বোর্ডের সম্পর্ক বিগত কয়েক মাস ধরে খারাপ যাচ্ছে। কদিন আগে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ফিক্সিং করে শ্রীলঙ্কা হেরেছিল বলে দাবি করেন তিনি। বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্লেষক ছাড়াও দেশটির রাজনীতিবিদের ভূমিকায় রয়েছেন রানাতুঙ্গা।
আজকের বাজার: সালি / ১৬ আগস্ট ২০১৭