কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলে জানালেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ। তিনি বলেছেন, ‘বিমানটি উড্ডয়নের দেড় ঘণ্টা পর আমরা দুর্ঘটনার সংবাদ পাই। ঘটনার পর থেকে ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট বন্ধ রয়েছে। এয়ারপোর্ট খুললে আমরা আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল সেখানে পাঠাব। নেপালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে। এ বিষয়ে যথাসময়ে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে।
তিনি বলেন, ‘হতাহতের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। ফ্লাইটে ৬৫ জন বয়স্ক, দুই শিশু এবং পাইলট ও ক্রু চারজন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন বাংলাদেশি, একজন মালদ্বীপ, একজন চাইনিজ এবং নেপালি ৩২ যাত্রী ছিলেন।
নেপালের স্থানীয় দৈনিক দ্য হিমালয় টাইমস বলছে, বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় প্রাণহানির শঙ্কা প্রকাশ করেছে টিআইএ।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ৭৮ যাত্রীবাহী পুড়ে যাওয়া বিমানটির ৫০ যাত্রীর ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি।
নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সুরেশ আচার্য বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানের ভেতর থেকে ১৭ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
এমআর/