জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বাড়িয়ে সংবিধান সংশোধনে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব রেখে ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন-২০১৮’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সংশোধনের ফলে সংসদে ৫০টি নারী আসন সংরক্ষণের মেয়াদ আরও ২৫ বছর বৃদ্ধি হলো বলে জানিয়েছেন শফিউল আলম।
জানা যায়, সংবিধানের ৬৫ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বর্তমানের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ চলতি সংসদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যাবে। পরবর্তী সংসদে সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য রাখতে হলে নতুন করে আইন করতে হবে। তাই সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া সরকার। এরই প্রেক্ষিতে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বাড়িয়ে সংবিধান সংশোধনে খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
এর আগে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ দুবার বাড়ানো হয়। ১৯৭২ সালের সংবিধানে ১০ বছরের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষণের বিধান করা হয়। ১৯৭৮ সালে সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৩০-এ উন্নীত এবং এর মেয়াদ ১৫ বছর করা হয়। ২০০৪ সালে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত আসন ৪৫ এবং এর সময়সীমা ১০ বছর নির্ধারণ করা হয়।
বর্তমানে ৩৫০ সদস্যবিশিষ্ট সংসদের ৩০০ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। বাকি ৫০ জন সংরক্ষিত আসনে নারী সংসদ সদস্য। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো তাদের আসনসংখ্যার অনুপাতে নারী সংসদ সদস্য মনোনীত করে থাকে।
আজকের বাজার:এলকে/ ২৯ জানুয়ারি ২০১৮