সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর ট্যানারি মালিকদের জরিমানা মাফ

গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর পরিবেশের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ৩১ কোটি টাকা জরিমানার অর্থ মওকুফ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর রবিবার (০৯ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে ট্যানারি মালিকদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

গত ৩০ মার্চ আদালত হাজারীবাগে থাকা ট্যানারি কারখানাগুলোর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে প্রতিবেদন দিতে বলেছিলেন। পরবর্তী আদেশের জন্য ৯ এপ্রিল আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষকে (ঢাকা ওয়াসা) শনি ও রবিবার ট্যানারি কারখানাগুলোর সংযোগ বন্ধ করে দেয়।

রবিবার দুপুরে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হয়। সে অনুযায়ী আদালত পরিবেশের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫৪ ট্যানারি মালিকের কাছে বকেয়া জরিমানা বাবদ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা মওকুফ করে দেন।

তবে ট্যানারি মালিকদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে শ্রম সচিবের বরাবরে জমা দিতে বলা হয়েছে। শ্রম সচিব সাভারে স্থানান্তরিত শ্রমিকদের পুনর্বাসনে এই এই অর্থ ব্যয় করবে।

হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সাভারে নির্ধারিত সময়ে স্থানান্তর করায় ১৫৪ ট্যানারি মালিককে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ধার্য করেছিলেন। জরিমানার অর্থ পরিশোধ বিষয়ে শিল্প সচিব আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দেন। যাতে দেখা যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে রয়েছে।