স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা,টেকসই উন্নয়ন ও সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে তরুণদের মেধা কাজে লাগাতে হবে।
২২ অক্টোবর রোববার ঢাকার লেক শোর হোটেলে কমন পারপাস চ্যারিটেবল ট্রাস্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘কমনওয়েলথ ওয়ান হান্ড্রেড প্রজেক্ট ল্যাঞ্চ ইভেন্ট গাইডিং মডেল ফর লীডারশীপ বিষয়ক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, কমলওয়েলথভুক্ত ৫২ দেশের মোট জনসংখ্যা ২.৪ বিলিয়ন। এর ৬০ শতাংশ তরুণ। তরুণ সমাজের উন্নয়নে কমনওয়েলথ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে। কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) উদ্যোগে তরুণ নেতৃত্বকে এগিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ পাইওনিয়ার ভূমিকা রেখেছে। এর আওতায় রোড শোসহ তরুণদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। গণতন্ত্র, সংসদ, মানবাধিকার ও রাজনীতিতে তরুণ সমাজকে অর্থবহভাবে সম্পৃক্ত করার জন্য সিপিএ কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তরুণদের আরো বেশি সচেতন, পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিশ্বস্ততা এবং তথ্য প্রযুক্তি আয়ত্ব করার বিষয়ে কমনওয়েলথ ১০০ প্রজেক্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উন্নয়ন পরিকল্পনা, কর্মকৌশল এবং ভবিষ্যত নেতৃত্বে তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করতে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় ‘কমন পারপাস’ কাজ করে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্পিকার বলেন, তরুণ কণ্ঠকে জাগ্রত করতে প্রয়োজন তরুণদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো। এক্ষেত্রে তাদের মানসিকতা ও জ্ঞানের কার্যকর বিকাশে তাদের সঙ্গে কথা বলা ও প্রশিক্ষণ খুবই জরুরি। ফলশ্রুতিতে তরুণদের মাঝ থেকে নেতা উঠে আসবে। আর এতে ভবিষ্যত নেতৃত্বে গতিশীলতা আসবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমন পারপাস এশিয়া প্যাসিফিক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী আদিরুপা সেনগুপ্তা। কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন কমওয়েলথ১০০ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মেঘা হারিস।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, এমসিসিআইর প্রেসিডেন্ট নাহিদ কবির ও কমন পারপাসের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ।