আমাদের মাঝে অনেকেরই ভুল ধারণা আছে যে সকালের নাস্তায় কম খেতে হয় বা সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে অনেকেই দেরিতে ঘুম থেকে উঠে সকালে এবং দুপুরে একসাথে ব্রাঞ্চ (ব্রেকফাস্ট+লাঞ্চ) করেন। কিন্তু এটি অনেকেই জানে না যে, এ ধরনের বিষয়টা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দেরিতে খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের মেটাবলিক রেট অনেক কমে আসে ফলে শরীর আরো বেশি ফুলে যায়। তাই সকালের নাস্তায় কি কি খাবেন তা জানা সবার জন্যই প্রয়োজন৷
ঘুম থেকে সকাল সকাল উঠার অভ্যাস করুন। ঘুম থেকে উঠার পর খালি পেটে ১/২ লিটার পানি পান করুন। কারণ সকালের খালি পেটের পানি আপনার শরীরের মেটাবলিক রেটকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে এবং আপনার এসিডিটি থাকলে নিয়ন্ত্রন করবে। এর পাশাপাশি হাতে সময় থাকলে হাটার অভ্যাস করুন।
সকালের নাস্তা প্রত্যেক বেলার খাবারের চেয়ে ভারী হতে হবে। কারণ সকালের খাবারের পরিমাণের উপরেই কিন্তু আপনার সারাদিনের শক্তির পরিমাণ নির্ভর করবে।
*সকালে নাস্তায় লাল আটার রুটি নির্বাচন করুন।
* লাল আটার রুটির সাথে বেশি করে দেশীয় শাক-সবজি খাবেন। তবে সবজির মধ্যে আলু এড়িয়ে চলুন। কারণ আলুতে কার্বোহাইড্রেট থাকে।
* প্রোটিন হিসাবে একটি ডিম পোচ বা ডিম সিদ্ধ খেতে পারেন।
* সকালের নাস্তায় প্লেটটি যেন সাতরং এর খাবারে ভরে থাকে এটি খেয়াল রাখতে হবে৷ অর্থাত মিক্স সবজি থাকতে হবে।
* কেউ রুটি পছন্দ না করলে লাল চিড়া, কলা ও টক দই মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং মেটাবলিক রেটকে নিয়ন্ত্রণ করে দেহে শক্তি যোগায়৷
* যে ঋতু চলবে সেই ঋতুর ফলমূল খেতে হবে তবে পাকা কলা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন।
* খাবার শেষ করার ১৫ মিনিটের মধ্যে পানি না খাওয়ার অভ্যাস করুন।
* যারা ওটমিল খেয়ে থাকেন তারা ওটমিলের সাথে বাদাম, দুধ খেতে পারেন।
* সকালে দুধ চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এড়িয়ে চলুন। কারণ দুধ চা শরীরের আয়রনকে শোষণ করে। ফলে যাদের দুধ চা খাওয়ার অভ্যাস, তাদের দেহে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়।
* সকালে নাস্তার অন্তত ২০ মিনিট পরে চা খেতে হবে।
* আদা দিয়ে সামান্য লিকারের চা বা গ্রীন টি শরীরের জন্য ভাল।
* সকালে চিনি ছাড়া চা খাওয়ার অভ্যাস করুন৷ আর চিনিসহ খেলেও সামান্য লাল চিনি দিয়ে চা খাবেন।
* বাচ্চাদের জন্য ২টি চিকেন বা ডিমের স্যান্ডউইচ দিতে পারেন।
* বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। সকালে ভাজা পোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
* মধ্য সকালে ২টা চিনি ছাড়া বিস্কুটের সাথে এক গ্লাস দুধ খেতে পারে।
* যারা বাহিরে কাজ করেন মধ্য সকালে তারা ২টা খেজুর খেতে পারেন৷ মাঝারি আকারের দুইটা খেজুর ১২০ ক্যালরি শক্তি বহন করে।
সুস্থ এবং সুন্দর জীবনযাপন করতে চাইলে উপরের নিয়মগুলো মেনে চলবেন দেখবেন আপনার প্রতিটি দিন খুব সুখের হবে৷
আজকের বাজার/এএল