সক্ষমতা থাকলে এবং কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকলে আরও নতুন ব্যাংকের অনুমোদন আসতে পারে । সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে ২০১৮ অর্থবছরের দিতীয়ার্ধের (জানুয়ারী-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষনার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এ কথা বলেন।
এসয় তিনি আরও বলেন, গত বছর শেষের দিকে একটি বেসরকারি ব্যাংক মুলধন সংকটে পরে এবং মুলধনের শেষ সীমায় পৌছায়। বিভিন্ন কারনে তারল্য সংকটে পরে কিন্তু তারা ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তন করে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় আবার ঘুরে দাঁড়ায়। সে জন্য নতুন ব্যাংক দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হবে তা সরাসরি বলা ঠিক হবেনা এবং এটা যৌক্তিক বলে আমি মনে করিনা বলে মন্তব্য করেন তিনি ।
গভর্নর ফজলে কবির বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ব্যাংকের জন্য প্রস্তাব এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিক্ষা-নিরিক্ষা করছে । বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিবে নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে।
কর্মসংস্থানের জন্য এবং বেসরকারি খাতে প্রবৃদ্ধির জন্য নতুন ব্যাংক আসতে পারে, সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ।
উল্লেখ্য , সম্প্রতি নতুন আরো তিনটি বেসরকারি ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ‘পিপলস ইসলামী ব্যাংক’ নামে একটি ব্যাংকের অনুমোদন পাচ্ছেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এম এ কাশেম। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
‘বাংলা ব্যাংক’ নামে একটি ব্যাংকের আবেদন করেছেন বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। এছাড়া একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়া হবে আরেকটি ব্যাংক।ব্যাংক দুটি অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের প থেকে এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেেিত বাংলাদেশ ব্যাংকও অনুমোদনের জন্য পরিা-নিরিা করছে বলে জানা গেছে ।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মতে, দেশের সব এলাকায় ব্যাংকিং সেবা দিতেই নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক রয়েছে। তারপরও প্রচুর অঞ্চল ব্যাংক সেবার বাইরে রয়েছে। এ কারণেই নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।