সঠিক পথেই রয়েছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী

আমাদের পথচলা এখানেই শেষ হয়নি। ভবিষ্যত উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে আমাদের আরো অনেক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হবে। আপনাদের নিশ্চিন্ত করতে চাই যে, আমরা সঠিক পথেই রয়েছি।

বাংলাদেশ এলডিসি স্ট্যাটাস প্রাথমিক পর্যায়ে উত্তরণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা এবং উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে আমাদের ‌‘ভিশন-২০২১’ স্বপ্ন দেখান এবং এদেশের যুবসমাজকে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। আমরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করি এবং তার জন্য আমাদের কৌশল ও নীতিমালা রচনা করি। আজকের উন্নয়ন তারই বাস্তবায়নের ফলশ্রুতি।

তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে আমরা জাতিসংঘ নির্ধারিত তিনটি নির্ণায়কই সফলভাবে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি। ইতিমধ্যে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমরা সেই লক্ষ্যেই আমাদের নতুন কার্যক্রম সাজিয়ে নিচ্ছি।

গত দশক ধরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চলমান মন্দা স্বত্ত্বেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাফল্য গাঁথা ধরে রাখতে পেরেছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের মতে, গতবছর Inclusive Development Index-এ বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪তম, যেখানে ভারত ৬২তম, পাকিস্তান ৫২তম এবং শ্রীলংকা ৪০তম অবস্থানে আছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ফলে অতি-দরিদ্র্যতার হার ২০১৬ সালে ১২.৬ শতাংশে নেমে এসেছে যা ২০১০ সালে ১৭.৬ শতাংশ ছিল।

সরকার দারিদ্র্য বিমোচনে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উৎপাদন ক্ষমতা আমরা অনবরত বাড়াতে চেষ্টা করছি যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আমরা অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি করে চলেছি এবং অধিকতর জনগণকে দারিদ্র্যসীমার ঊর্ধ্বে নিয়ে আসতে সক্ষমতা বজায় রাখছি। দারিদ্র্য এদেশ থেকে আমরা বিতাড়িত করবো ২০৩০ সালে নয়, ২০২৪ সালের মধ্যেই।

প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে আমাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনায় দক্ষতা, আন্তর্জাতিক মানের পণ্য ও প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে আমাদের সামর্থ আরো বাড়িয়ে চলেছি। তা ভবিষ্যতে শুধু চলবে না বরং আরো জোরদার হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
এমআর/