কুমিল্লার হোমনায় খাদিজা নামে এক মহিলার দুটি বাচ্চার একজনকে পেটে রেখেই সেলাই করে অস্ত্রোপচার শেষ করার ঘটনায় ওই মহিলাকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। লাইফ হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে এ নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অপরারেশন করা চিকিৎসক হোসেন আরা বেগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএমডিসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবং ব্যবস্থা নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত ওই ডাক্তারকে অপারেশন থেকে বিরত থাকতে বলেছেন আদালত। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লাইফ হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই রায় ঘোষণা করেন। অস্ত্রোপচারে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার হোসনে আরা বেগম এবং লাইফ হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আদালতে হাজির ছিলেন।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আউয়াল হোসেনের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা খাদিজা আক্তারের (১৮) যমজ সন্তানের একটি পেটে রেখে অপারেশন শেষ করা সংক্রান্ত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে গত ২৯ অক্টোবর তিনজনকে তলব করেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মাহফুর রহমান মিলন আদালতের নজরে আনেন।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাদিজা ভর্তি হন দাউদকান্দির গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। ওই দিনই তাকে অস্ত্রোপচার করেন মালিগাঁও ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. শেখ হোসনে আরা। খাদিজার গর্ভে দুটি সন্তান থাকলেও অস্ত্রোপচার করে একজনকে বের করা হয়। অপরটি টিউমার বলে অস্ত্রোপচার সমাপ্ত করেন চিকিৎসক। এরপর এক মাস ধরে সন্তান পেটে রেখেই টিউমারের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে ছোটাছুটি করেন খাদিজা। ৫-৬ দিন আগে তিনি হোমনার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জানতে পারেন তার পেটে টিউমার নয়, আরেকটি সন্তান রয়েছে। খাদিজা আক্তার আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২৬ নভেম্বর ২০১৭