সব ভোটের ফল রংপুরের মতো হবে: এরশাদ

রংপুরের মতো সারা দেশেই নির্বাচনে জয়ের আশায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বড় জয়ে এই আত্মবিশ্বাস এসেছে সাবেক রাষ্ট্রপতির।

১৯৯০ সালে গণ অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হারানো এরশাদের বিশ্বাস এই মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে তার দল জাতীয় পার্টিই বেশি জনপ্রিয়। আর রংপুরে তার প্রমাণ মিলেছে।

শনিবার ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টিতে দলের সাবেক সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর যোগদান অনুষ্ঠানে এরশাদ এসব কথা বলেন।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ফরাজী বিএনটিতে চলে গিয়েছিলেন ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে। তখন বিএনপির প্রার্থী হয়ে জিতলেও ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি তিনি। এরপর বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় ফরাজীর। আর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত জন ফরাজী।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এরশাদকে আসন উপহার দেয়ার আশা করছেন ফরাজী।

এরশাদ বলেন, সাবেক নেতার দলে ফিরে আসায় জাতীয় পার্টি শক্তিশালী হবে। অন্য যারা দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাদেরকেও এই পথ ধরে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি। জাতীয় পার্টির ভবিষ্যত উজ্জ্বল দাবি করে এরশাদ বলেন, রংপুরে ভোটে যা হয়েছে সেটা একটা নমুনা মাত্র। এরশাদ বলেন, ‘সরকারের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলোর ফলাফলও রংপুরের মতো হবে।’

বৃহস্পতিবার রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জিতেছেন প্রায় এক লাখ ভোটে। সেখানে বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা তৃতীয় হয়েছেন।

এরশাদ বলেন, ‘ ‘দেশের মানুষ যে বর্তমান সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে।’ জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের হলেও তারা সে দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাপা চেয়ারম্যান। বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এলে জনগণের জানমালের দায়িত্ব নেবে।’ এরশাদ বলেন, “জাতীয় পার্টি নিন্দিত নয়, নন্দিত দল। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রভাব আগামী জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে। কারণ মানুষ পরিবর্তন চায়। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে।

“ইদানিং গুম-খুন-ধর্ষণ-দুর্নীতির চিত্র দেখলে মনে হয় দেশে কোনো সরকার নেই। এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে রংপুর সিটি নির্বাচনের মত ভবিষ্যতের সব নির্বাচনে দেশবাসী লাঙ্গলের ওপর আস্থা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”

আজকের বাজার: এলকে/ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭