‘সব সূচকেই বাংলাদেশের ইতিবাচক অগ্রগতি’

সামাজিক উন্নয়ন সূচক, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতাগুলো পেরিয়ে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আগামীতে বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের পথ উন্মুক্ত হবে। এমনটিই বললেন, ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড লং-টার্ম ইনভেস্টমেন্ট পটেনশিয়ালস’ শীর্ষক সেমিনারের বক্তারা। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিজিসিসিআই)।

সেমিনারে বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের এ সাফল্যের পেছনে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, দক্ষ জনবল, জ্বালানি সেক্টর, যাতায়াত ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক অঞ্চল, পলিসি মেকিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মো. ফরাসউদ্দিন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ইন্ডিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর জুনাইদ আহমেদ। সেমিনারে সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিজিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট টমাস হফম্যান। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জার্মানির মিশন প্রধান বার্কহার্ড ডুকফ্রি, বিজিসিসিআই সভাপতি ওমর সাদাত প্রমুখ।

সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের ডুয়িং বিজনেসের তালিকায় বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তার পেছনে মূলত টেকনোলজিক্যাল রেভল্যুশন, এনার্জি সেক্টর, ট্রান্সপোর্ট, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সরকারের নানা উন্নয়ন রয়েছে। গত ১০ বছরে সরকার অর্থনীতি এবং কারিগরি সেক্টরে যে উন্নয়ন ঘটিয়েছে, তা রীতিমতো রেকর্ড হওয়ার মতো। উন্নয়নের সূচকগুলো কীভাবে পরিবতন হচ্ছে, সেগুলোর দিকে নজর দিচ্ছে সরকার। বিশেষ করে বিডার উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সরকার বাণিজ্যিক সেক্টরে পরিবর্তন এনেছে।

তিনি বলেন, ৩৪-৩৫ বছর আগে বাংলাদেশের উন্নয়ন সূচক বেশির ভাগ তলানির দিকে ছিল। বর্তমানে মানব উন্নয়ন সূচক থেকে শুরু করে সব সূচকে ইতিবাচক অগ্রগতি বাংলাদেশের। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের ওপরে। মুজিব বর্ষে সরকারের এসব উন্নয়ন আরো কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয়গুলো আরো গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

আজকের বাজার/এ.এ