সমুদ্রসীমা আইন সংশোধন করবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সরকার আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের অনুসরণে ১৯৭৪ সালের আঞ্চলিক পানি ও সমুদ্রসীমা অঞ্চল সম্পর্কিত আইন যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে।

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটার এন্ড মেরিটাইম জোন (সংশোধনী) আইন ২০১৯’র খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে এই আইন প্রণয়ন করেন। ওই সময় পৃথিবীর কোথাও এ ধরনের আইন ছিল না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সরকারি বিবরণীতে একথা বলা হয়।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করতে ১৯৭৪ সালের এ সম্পর্কিত আইন সংশোধনের খসড়ায় মন্ত্রিসভা সোমবার অনুমোদন দিয়েছে।

মোমেন বলেন, ভারত, পাকিস্তান, নরওয়ে ও আরো কিছু দেশ পরবর্তীতে এ আইন প্রণয়ন করে। এমনকি জাতিসংঘ ১৯৮২ সালে এ সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন করে।

তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের আইনটি থাকায় সমুদ্রসীমার ১.৮০ লাখ বর্গবিলোমিটার সমুদ্র এলাকার উপর বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই আইনের সুবাদে উপকূল থেকে সাগরের ৩৫০ নটিক্যাল মাইল সমুদ্র এলাকার উপর সব ধরনের অধিকার পাওয়া গেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উত্তর মেরু পর্যন্তও বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান