মায়ানমারের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখেই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার ২২ নভেম্বর বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন তিনি।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সেলিনা জাহান লিটা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ ও কার্যিক্রম সম্পর্কে জানতে চান প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলের জোর সমর্থন আদায়ে সফল হয়েছে। আমরা কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
মায়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশ সোচ্চার হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মায়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়া ছিল আমাদের অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। আমাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি দ্রুত আন্তর্জাতিক মহলের নজরে আনা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কূটনৈতিক তৎপরতার কথা তুলে ধরেন সংসদে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের জন্য বাংলাদেশের জোর প্রচেষ্টার ফলে রোহিঙ্গাদের অধিকারের পক্ষে আজ বিশ্বজনমত গঠিত হয়েছে। মায়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে বিশ্বনেতারা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন করতে বাংলাদেশ একটি খসড়া মায়ানমারকে সরকারকে হস্তান্তর করেছে জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, এটি নিয়ে দুই দেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের সর্বশেষ তথ্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জানান, গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬০ জন নিবন্ধিত হয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২২ নভেম্বর ২০১৭