সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিএসএল বেড়েছে ১.০২ ট্রিলিয়ন টাকা

রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ সেবার দায়গুলোর (ডিএসএল) পরিমাণ গত অর্থবছরের (২০১৬-২০১৭) শেষের দিকে ১.০২ ট্রিলিয়ন টাকায় বেড়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

ডিএসএল’র পরিমাণটি আসল ও সুদসহ নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে আসল ও সুদসহ অভারডিউয়ের সর্বমোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৬৯.৯১ বিলিয়ন টাকা।

২০১৭ সালের জুন মাসের ৩০ তারিখের দিকে অভারডিউ ও চলতি পরিমাণসহ সর্বমোট পরিমাণ দাঁড়ায় ২.১৩ ট্রিলিয়ন টাকা। ২০১৬ সালের জুন মাসের শেষের দিকে এর আকার ছিল ২.০৩ ট্রিলিয়ন টাকা।

বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী ও স্থানীয় অর্থ ঋণগুলো থেকে প্রকল্পগুলোর জন্য ফান্ড নেওয়ার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর এই ঋণের বোঝা বেড়েছে।

প্রায় ১১৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান (এসওই) গত অর্থবছরে সরকার থেকে ঋণ নিয়েছে। সরকার এসব প্রতিষ্ঠানকে ওই অর্থবছরে ১২টি নতুন ঋণ দিয়েছে।

সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এসওই) ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রায় ৯৪৭টি ঋণ প্রদান করেছে।

২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে শুধু বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) ডিএসএল’র পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৫০.৯১ বিলিয়ন টাকা। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) ডিএসএল’র পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০৭.৭৯ বিলিয়ন টাকা।

পেট্রোবাংলার সর্বমোট ডিএসএল’র পরিমাণ ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে অল্প কিছু বেড়েছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে পেট্রোবাংলার ডিএসএল’র পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০৭.৭৯ বিলিয়ন টাকা।

২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ডিএসএল’র পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৬.১২ বিলিয়ন টাকা।

২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) ডিএসএল’র পরিমাণ দাঁড়ায় ১০০.২২ বিলিয়ন টাকা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক ও ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের মতো বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে থাকে।

আজকের বাজার/একেএ