সড়কে মৃত্যুর মিছিল রোধে যেসব দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে তাতে সমর্থন জানিয়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (০২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এক দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার। সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। সড়ক দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে দেশে একের পর এক অঘটন ঘটলেও অনির্বাচিত অবৈধ এ সরকার তা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা শুধু নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও সেতুমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি না, আমরা এই সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি। তাই জনগণকে এই সরকারের পতন আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
পরিবহন খাতে ভয়াবহ কাণ্ড চলছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সে কারণেই যার যা খুশি করছে। মনে হচ্ছে, সরকার বলে কোনো কিছু নেই। এটা একটা পুরোপুরি ব্যর্থ সরকার।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী এই বিষয়টা (শিক্ষার্থীদের আন্দোলন) ডাইভার্ট করার জন্য, আবার জিয়াউর রহমানের দিকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সাথে জড়িত থাকায় জিয়াউর রহমানের বিচারটা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) করে যেতে পারলেন না।’
‘কোথাও আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি, এই ঘটনায় জিয়াউর রহমান জড়িত এবং মুজিব হত্যার যে বিচার হয়ে গেল সেই বিচারে সমস্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে কোথাও কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণে জিয়াউর রহমানের নাম নেই। সরকারের এই বিষয়টা সামনে আনার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই বিষয়কে (শিক্ষার্থীদের আন্দোলন) ডাইভার্ট করা’, বলেন বিএনপির মহাসচিব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনা করবে আমাদের সেই সন্তানেরা গতকাল যা করেছে, যেভাবে গাড়ি চালকদের লাইসেন্স দেখেছে তাকে সমর্থন জানাই। আমরা যেটা পারিনি তারা সেটা পেরেছে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আজকের বাজার/এমএইচ
