সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেল এভারটনের নতুন স্টেডিয়াম

৫৩ হাজার ধারনক্ষমতা সম্পন্ন নতুন স্টেডিয়াম নির্মানে বৃটিশ সরকারের অনুমতি পেয়েছে এভারটন। বর্তমানে ক্লাবটি গুডিসন পার্কে নিজেদের হোম ম্যাচগুলো খেলে থাকে। প্রিমিয়ার লিগে ‘বিগ সিক্স’ এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় টিকে থাকতে এটি একটি অনেক বড় পদক্ষেপ হিসেবেই সকলেই বিবেচনা করছে।
ইংলিশ ফুটবলের ইতিহাসে এভারটন নয় বার লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু ১৯৯৫ সালের পর থেকে কোন শিরোপার দেখা পায়নি। গুডিসন পার্ক ১৯৮২ সাল থেকে এভাটরনের হোম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু এই স্টেডিয়ামে ধারনক্ষমতা ৪০ হাজারেরও কম। একইসাথে এর সুযোগ সুবিধাও মোটেই আধুনিক মানের নয়।
লিভারপুল সিটি কাউন্সিল গত মাসে নতুন স্টেডিয়ামে পরিকল্পনার অনুমোদ দিয়েছে। লিভারপুলের এই প্রকল্প এখন সরকারের অনুমোদনও লাভ করলো। স্টেডিয়ামটির নির্মান ব্যয় প্রায় ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড ধরা হয়েছে।
এভারটনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ওয়াটারফ্রন্ট এরিনায় ৫২,৮৮৮ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামটি নির্মানের অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। ক্লাব এখন প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। বিশেষ করে জমি অধিগ্রহনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। একইসাথে প্রকল্প ব্যয় সন্ধানেও এভারটন কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুতই এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চায় এভারটন। এর মাধ্যমে ক্লাবের প্রায় ১.৩ বিলিয়ন পাউন্ড আর্থিক লাভ হবে, ১৫ হাজারেরও বেশী কর্মসংস্থান হবে এবং ১.৪ মিলিয়ণ নতুন পর্যটক এই শহরে আসবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এই স্মরনীয় ক্ষনে এভারটনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি মানুষকে ক্লাব স্মরণ করছে। এর মধ্যে আয়োজক, সমর্থক, দলের জন্য নিবেদিন প্রাণ স্টাফ ও ক্লাবের আজকের এই অবস্থানের জন্য যাদের অবদান রয়েছে তাদের সবাইকে ক্লাবের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে।’
আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জন্য এভারটন দারুনভাবে শীর্ষ ক্লাবগুলোকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। প্রিমিয়ার লিগে বর্তমানে তারা অষ্টম স্থানে রয়েছে। শীর্ষ চারের থেকে তারা মাত্র পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে।
২০২০ সালে ক্লাবের টার্নওভার ছিল ১৮৬ মিলিয়ন পাউন্ড। যদিও করোনাভাইরাস মহামারীরর কারনে গত দুই মৌসুমে খেলোয়াড় চুক্তি বাবদ ক্লাবটির বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।