সম্প্রতি চালের দর বৃদ্ধিতে সরকারের ‘সিদ্ধান্তহীনতা’কে দুষছে করেছে বিশ্ব ব্যাংক। সংস্থাটি বলছে বন্যার কারণে চাল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হলেও সরকারের নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই দামে বেশি প্রভাব পড়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সংস্থাটির বাংলাদেশস্থ কার্যলয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ মন্তব্য করা হয়।
এসময় সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, প্রথম পর্যায়ে হাওর অঞ্চলের বন্যায় ৮ থেকে ১০ লাখ টন চাল উৎপাদন কম হয়েছে। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ লাখ টন চাল উৎপাদন কম হয়েছে।
সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টন চালের ঘাটতি মেটাতে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে সেই নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়েছে। সরকার চাল আমদানি করবে; নাকি স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করবে? আবার আমদানি করলে সেটার ব্যাপারে নীতি কি হবে ? এই বিষয়গুলো পরিস্কার ছিল না।
আর চালের দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুজব একটি বড় ভূমিকা রেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইদানিং কালে ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডেও চালের দাম বেড়েছে। এছাড়া সরকারি গুদামেও চালে যথেষ্ঠ ঘাটতি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দেশের হাওরে বন্যা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে উত্তরাঞ্চলে বন্যার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে চালের দাম প্রায় ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পায়।
যদিও বরাবরের মতো এই দর বৃদ্ধিতে মিল মালিক ও আড়ৎদারদের দায়ী করেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। বাজার মনিটরিংয়ের অভাবও ছিল তাদের অভিযোগের তালিকায়। তবে বিশ্ব ব্যাংক বলছে নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীতাই দায়ী ছিল।
এই দর বৃদ্ধিতে মোটা স্বর্ণা ও পারিজা চাল প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট কেজি প্রতি৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হয় (ভালো মানের) ৬৫ টাকা দরে, মিনিকেট (সাধারণ) ৬০ টাকা, বিআর-২৮ ৫৮ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৭০ টাকা, পাইজাম চাল ৫৫ টাকা, বাসমতি ৭২ টাকা, কাটারিভোগ ৭৬ টাকা এবং পোলাও চাল ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আজকের বাজার : এলকে/এলকে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭