সাংগঠনিক ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ হাছানের

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রাজনৈতিক মনোবল জোরদারে ঐক্য ও অখ-তা বজায় রাখতে আজ আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নৈতিক অবক্ষয় রাজনীতি ও ব্যক্তি জীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাছান বলেন,‘যদি আমরা আমাদের সাংগঠনিক ঐক্য বজায় রাখতে পারি, তবে অন্য কোন দল আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে পারবে না।’রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিন্যুয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিদের সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান সতর্ক করে বলেন, নৈতিক অবক্ষয় রাজনৈতিক দলগুলোকেও গ্রাস করতে যাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মীদের অবশ্যই তাদের সততা ও নীতি নৈতিকতাকে দৃঢ়তার সাথে ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন,‘আমাদের উচিৎ দলকে নৈতিক অবক্ষয় মুক্ত করা।’ মন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই মেয়র প্রার্থী বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আমাদের সাংগঠনিক ঐক্যের কারণেই এই সাফল্য এসেছে এবং এই নির্বাচনে আমরা আমাদের সাংগঠনিক শক্তি দেখাতে পেরেছি।

ভোট কেন্দ্রগুলোর বাইরে শুধু আওয়ামী লীগের কর্মীরাই ছিলেন এমন অভিযোগের জবাবে হাছান বলেন,‘এদেশের সকল রাজনৈতিক দলই ভোট কেন্দ্রগুলোর বাইরে ক্যাম্প স্থাপন করে। এটা তাদের একটা অভ্যাস। আওয়ামী লীগও কেন্দ্রগুলোর বাইরে ক্যাম্প স্থাপন করে এবং সেগুলোতে দলের বেশকিছু কর্মী ছিল। এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন,‘কিন্তু বিএনপি অনেক ভোট কেন্দ্রের সামনে তাদের ক্যাম্পই স্থাপন করেনি। এটা তাদের(বিএনপি)সাংগঠনিক দুর্বলতারই বহিঃপ্রকাশ।’ হাছান বলেন,‘আমি মনে করি যে দলের বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের সাংগঠনিক শক্তিকে আরো জোরদার করতে হবে।’ মন্ত্রী বলেন, দেশের রাজনীতি নৈতিক অবক্ষয় থেকে মুক্ত নয়। সুতরাং আমাদের নৈতিকতার উন্নতি করা উচিৎ। আওয়ামী লীগ কর্মীদের এই সত্যটি উপলব্ধি করা উচিৎ যে, রাজনীতি একটি ব্রত।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অসামান্য সংকল্প নিয়ে সমস্ত সঙ্কটের মুখোমুখি হয়ে টানা তিনবার ক্ষমতায় রয়েছেন। তার গতিশীল নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বিশ্বনেতা, নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী, বিশ্বব্যাংকের প্রধান, বিশ্বের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করছেন। তিনি বলেন, জনগণের সুবিধার্থে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদনের জন্য দেশবাসী দলকে(আওয়ামী লীগ)সমর্থনও দিচ্ছেন। তবে তারা (জনগণ) রূঢ় মনোভাব পছন্দ করে না। আমাদের উন্নয়নের কার্যক্রম বিনয়ের সঙ্গেই করা উচিৎ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বি এম মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, আসাদুজ্জামান নূর এমপি, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সাফুরা খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রংপুর বিভাগের সকল জেলা শাখার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান