মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদন পাওয়া ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ অনেক চিন্তা-ভাবনা করে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেছেন, এই আইনে সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখা যাবে না বা সে কারণেও আইনটি করা হয়নি। তাঁর মতে, সাংসদদের বিরুদ্ধে বানোয়াট সংবাদ বন্ধ করতেই ডিজিটাল আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ৩০জানুয়ারি সচিবালয়ে ঢাকা চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নব নির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ সব মন্তব্য করেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগের আইসিটি আইনে অনেক কিছুই অস্পষ্ট ছিল। নতুন ডিজিটাল আইনে এ অস্পষ্টতা দূর করা হয়েছে।
ডিজিটাল আইন-২০১৮ এর ৩২ ধারা সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না এই আইন সাংবাদিকতার অন্তরায় হবে। এ আইন করেও আপনাদের থামাতে পারবো বলে মনে হয় না। আপনারা যেটা করেন, ইলেকট্রনিক ডিভাইজে গোপনে ধারন এটা কি ঠিক? এটা ঠিক নয়।
গোপনে যদি কোন দুর্নীতির ভিডিও ফুটেজ ধারন করা হয় তাহলে এটা কি গুপ্তচবৃত্তি হবে? এর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনারা গোপনে ভিডিও করবেন কেন? এ কথার পরপরই সাংবাদিকদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। সাংবাদিকরা বলতে থাকে কোনো দুর্নীতির ভিডিও কি প্রকাশ্যে ধারণ করা সম্ভব?
মন্ত্রী বলেন, আর আপনারা যেভাবে লেখেন সেটাও তো ঠিক নয়। একজন এমপি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তাঁর একটা সম্মান আছে। তার বিরোধীরা অনেক সময় কিছু তথ্য দেয় আর সেটা আপনারা পত্র পত্রিকায় যেভাবে লেখেন ‘দিস ইস নট কারেক্ট’।
আজকের বাজার:এসএস/৩০জানুয়ারি ২০১৮