সাকিব আল হাসানের দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা (এক বছরের স্থগিত) দেওয়ার পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, সাকিবের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সম্ভাব্য যা করা দরকার সবই করবে বিসিবি। তবে পুরো ব্যাপারটা যেহেতু আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশন ইউনিট ও সাকিবের মধ্যে, এখানে বিসিবির সরাসরি হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। এই ব্যাপারটা মেনে নিয়ে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজ বলেছেন, এখানে বিসিবির কিছু করার সুযোগ সীমিত। তারপরও বিসিবির আইন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে তারা ঠিক করবেন, এখানে কী করা যেতে পারে।
জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাব আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশন এসিইউকে না জানানোর কারণে সাকিব নিষিদ্ধ হয়েছেন দুই বছর। তবে এসিইউকে সহায়তা করলেও নিয়মিত মেনে চললে এক বছর পরেই আবার মাঠে ফিরতে পারবেন। সেই শাস্তিটা কীভাবে আরও কমানো যেতে পারে, সেটি নিয়ে বিসিবি ভাবছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। আজ মিরপুর প্রধান নির্বাহীও নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারলেন না, ‘বিষয়টায় আসলে বিসিবির করার সুযোগ সীমিত। যেহেতু সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার এটা মেনে নিয়ে চুক্তির মধ্যে চলে গেছে। তার পরও অবশ্যই আমরা আইনগত বিষয়গুলো দেখবে বিসিবি কতটা কাজ করার সুযোগ আছে এখানে। আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের লিগাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। এখানে আদৌ কোনো সুযোগ আছে কিনা, এটি আমরা কথা বলে দেখব।’
সাকিবের সঙ্গে বিসিবি চুক্তি রাখবে না বাতিল করবে সেটা নিয়েও আছে প্রশ্ন। এটা নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারছেন না প্রধান নির্বাহী, ‘এই মুহূর্তে চুক্তি নিয়ে কথা বলা কঠিন। মাত্র ২-১ দিন হলো সিদ্ধান্ত জানতে পেরেছি আমরা। বোর্ডে আলোচনা করতে হবে। আইনী দিকগুলো দেখতে হবে কতটুকু করা যায় বা সুযোগ আছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে এখনই কথা বলার সময় হয়নি।’
এসিউকে সহায়তা করার জন্য শাস্তি কমানোর দৃষ্টান্ত অবশ্য আছে। মোহাম্মদ আমিরও এর চেয়ে অনেক বড় মাত্রার অপরাধ করে ছয় মাস আগেই ফিরতে পেরেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। সাকিবের ক্ষেত্রে সেরকম কিছু হবে কি না সেটা বলে দেবে সময়।